বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে কথা বলেছেন।
জনাব তারেক রহমান তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি প্রতিদিন একই কথা বলছি সামনের পথ কিন্তু মোটেও মসৃণ না। বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা দেখেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যারা বিশেষ করে সরকারপ্রধান আছে ডক্টর ইউনূস উনি কিন্তু বলেছেন যে , কীরকম অর্থনৈতিক অবস্থা অবস্থায় রেখে গিয়েছে পলাতক স্বৈরাচার। চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট করে সব সাফা করে দিয়েছে।আপনারা প্রত্যেকেই জানেন আপনারা প্রত্যেকে ভুক্তভোগী।
কি বিষয়ের কথা উল্লেখ করে জনাব তারেক রহমান আরো বলেন, সেটি বিচারব্যবস্থা বলেন, প্রশাসন বলেন, পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা বলেন সব কিছু ভেঙেচুরে, রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ভেঙেচুরে ধ্বংস করে দিয়েছে। কাজেই যারাই দায়িত্ব পাক আগামী দিনে সেই দলটির বা যাঁরা দায়িত্ব পাবে তাদের অত্যন্ত কষ্ট হবে। কিন্তু কষ্ট আমরা তখনই হাসিমুখেই কষ্টকে আমরা সহজ করে নিতে পারব, আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকি।এবং আমরা বলতে আমি শুধু আজকে এখানে বিএনপির কথাই বলেনি।
নিজের ঘরকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা বলেন, প্রথমত নিজের ঘরকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এরকম কোনো ব্যবস্থা যেমন করা যাবে না একই সাথে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে এই দলগুলো রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা একসাথে সংগ্রাম করেছি। অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছি৷ জেল জরিমানা সহ্য করেছি।সেই সকল রাজনৈতিক দলকে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
৩১ দফার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, কারণ আমাদের এই ৩১ দফা শুধু বিএনপির ৩১ দফা না আমাদের ৩১ দফা সকল রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ৩১ দফা। কাজেই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এইখানে সত্য বাস্তবতা কেউই অস্বীকার করছেন না কি সেটি এই যে সকল দলগুলো তার মধ্যে বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, অন্য দলগুলো মোটেও সেটা অস্বীকার করছেন না৷ বলছেন, বিএনপি বড় দল এবং বড় দল হিসাবে হিসাবে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব বিএনপির জনগণের আস্থা ধরে রাখা। এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।
প্রিয় সহকর্মী বৃন্দ, আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি প্রতিজ্ঞা বা নীতিতে বিশ্বাস করি।আপনারা যে রকম অত্যাচারিত নির্যাতিত হয়েছেন আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার পরিবারে অত্যাচারিত নির্যাতিত হয়েছে সেই পলাতক স্বৈরাচার দ্বারা।
যে কোনও নির্যাতিত মানুষ,তাঁর নির্যাতনের নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায়।প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ আপনি চান, আমি চাই, আমরা সবাই চাই যাঁরা অত্যাচারিত নির্যাতিত তবে,আমি ব্যক্তিগত ভাবে এবং আমি মনে করি আজকে এখানে উপস্থিত আমার প্রতিটি নেতা কর্মী। এই দলের প্রতিটি নেতা কর্মী আমার সাথে একমত হবেন। কেউ দ্বিমত হবেন না কি সেটি?
আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই। আমি প্রতিশোধ নিতে চাই। এই ৩১ দফাকে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে।কারণ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁরা এই দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন ।এই দেশের শিশুদেরকে শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন, বেকারদের কর্মসংস্থান করতে চেয়েছিলেন, খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করতে চেয়েছিলেন, দেশে শিল্পায়ন করতে চেয়েছিলেন, মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। সেই কাজগুলোতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর প্রতিশোধ সেদিনই সফল হবে, যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই ৩১ দফাকে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব। একমাত্র সেদিনই আমরা অগণতান্ত্রিক যে অশুভ শক্তি।যারা বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে চায়।তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশোধ সফল হবে। যেদিন আমরা ৩১ দফার বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করব এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া থাকবে। আমরা ভালো থেকে ভালো করতে সক্ষম হব। সেদিনই আমরা প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম হব আমরা। আমি প্রতিশোধ বলতে তাই বুঝি বাস্তবায়ন অফ ৩১ দফা।
ফুয়াদ