বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই ঘোষণা করবেন।
পদত্যাগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেদনটি আমার নজরে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেখেছি। পত্রিকা আসলে কোন উৎস থেকে এটা করেছে, সেটা পরিষ্কার করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। যদি হয় তাহলে আমরা নিজেরাই বলব। রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণের পরিস্থিতি হলে, আমরা সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবেই বলব। এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমার বা আসিফের জায়গা থেকে হয়নি। আমরা সরকারের কার্যক্রম করছি।’
রাজনৈতিক দল গঠনের কোন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উদেষ্টা নাহিদ বলেন, না এখনো আমরা ভাবি না। আমরা সরকারের কাছে সরকারের কার্যক্রমই করছি। তো এই আলাপটা ছিল যখন আসলে রাজনৈতিক দল থেকে বলা হচ্ছিল যে সরকারের থেকে রাজনৈতিক দল এবং তখন আমি (নাহিদ) বলেছিলাম যে কথার প্রেক্ষিতে যে নতুন রাজনৈতিক দল হোক বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল হোক আমরা সরকারে থাকা অবস্থায় সাথে সংশ্লিষ্ট হব না। এখনও পর্যন্ত আমাদের এ রকম কোনও সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা আসলে হয় নি।
উপদেষ্টা নাহিদ আরো বলেন, ব্যক্তিগত জায়গা থেকে আমি বা ছাত্রদের পক্ষ থেকে ছাত্ররা বলেছে যে, আমরা মনে করি যে আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে ফ্যাসিজম করেছে।জুলাই যে ধরনের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে তারপরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ নামে আওয়ামী লীগ ব্যানারে আসলে রাজনীতি করার সুযোগ বাংলাদেশে থাকা উচিত না বলে আমরা মনে করি। সেটার আইনগত প্রক্রিয়া কী হবে?রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কী হবে? সেটা হয়তো আমাদের আলোচনা করে বের করতে হবে। পাশাপাশি এটাও আমরা বলেছি যে, কিন্তু আমরা কিন্তু কোনও প্রতিহিংসা হয়ে আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শুরু করতে চাই না। আমরা রিকনসিলেশনের চাই, আমরা জাস্টিসের চাই।ফলে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিল না, যারা দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিল না, এরকম যারা সমর্থকগোষ্ঠী আছেন নেতাকর্মী আছে তারা সাধারণ ক্ষমা পেতে পারে। তাদেরকে সমাজে রিকনসিলেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে না হলে সমাজকে বিভাজিত অবস্থায় রাখতে পারি না।
জুলাই ঘোষণার বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, সরকারের জায়গা থেকে সরকারের সম্পূর্ণ প্রস্তুতিও আছে। এখন রাজনৈতিক দল বিএনপি এখানে দেরি করছে, তারা সময় চাচ্ছে, আমরা সেই সময়টাও তাদেরকে দিয়েছি।এখন দেখা যাক তারা তাদের উত্তরটা কী আসে?
কিন্তু আমি মনে করি যে এটা ছাত্রদের জায়গা থেকে এই প্রথম একক ভাবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল। যখন রাজনৈতিক দলগুলোর অংশীদারিত্ব হতে চেয়েছে তখন সরকার নিজে উদ্যোগ নিয়েছে। জাতীয় ঐক্য রক্ষার স্বার্থে।
ফুয়াদ