ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দীন আহমেদ জানান, দেশে চাঁদাবাজির মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি তিন ধাপে চলছে—প্রাক্তন শাসক দলের নেতা-কর্মী, উদীয়মান রাজনৈতিক দল এবং স্থানীয় চাঁদাবাজরা এতে জড়িত। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, মহাস্থানগড় থেকে ঢাকায় পণ্য আনতে তিন জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। চাঁদাবাজির কারণে দ্রব্যমূল্য কন্ট্রোল করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে তাদের ক্ষমতা সীমিত, তাই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শিগগিরই অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং মুদ্রাস্ফীতি কমে যাবে।
চাঁদাবাজি কেন কমানো যাচ্ছে না এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা জানান, যেহেতু তারা দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন তাই তারা খুববেশি জোড় করতে পারেন না। চাইলে দমন-পীড়ন চালাতে পারেন না। এছাড়া রাজনৈতিক সরকারের পলিটিক্যাল আর্মস বা রাজনৈতিক লোকজন থাকায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
কিন্তু যেহেতু তারা রাজনৈতিক সরকার না তাই স্বাভাবিকভাবেই সেই সুযোগটিও তাদের হাতে নেই। এছাড়াও পুলিশকে তারা আর নৃশংসভাবে উপস্থাপন করতে চান না এটাও স্পষ্ট করেছেন তিনি।এছাড়াও, ভোক্তা অধিকার সঠিকভাবে কাজ করছে না এমনটাও বলেন তিনি।
জাফরান