ছবিঃ সংরক্ষিত
বাংলাদেশে একটি নতুন ছাত্রভিত্তিক রাজনৈতিক দল খুব শীঘ্রই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এই দলের গঠনতন্ত্রের ভিত্তি তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানের ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের এ কে পার্টি, এবং ইন্দোনেশিয়ার আন্না হাদা পার্টির গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে। দলটির পরিকল্পনা অনুসারে, তারা দেশ ও জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে নতুন ধরনের রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করবে।
দেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে দেশজুড়ে যে বড় আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যা দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। আন্দোলনের পর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলে যায়। এর পর থেকেই ছাত্রদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
নতুন দলটি "জাতীয় নাগরিক কমিটি" এবং "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন"-এর নেতৃত্বে থাকবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলটি ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। দলটির গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও চলছে, এবং এর মধ্যে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দলের নেতৃত্বে থাকবেন, আর মুশফিক সালেহিন, যিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সহ-মুখপাত্র, জানান যে, নতুন দলটি দেশের বাইরে বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করছে।
এই নতুন দলটির গঠনতন্ত্রের মূল লক্ষ্য হবে একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করা, যেখানে ছাত্রদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর শোনা যাবে। দলটি ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী।
প্রতিটি দলের গঠনতন্ত্রে নেতৃবৃন্দের পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি, দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং জনগণের উন্নতির জন্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়। বিশেষত, তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং এ কে পার্টির মতো দলগুলোতে গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে, যা এই নতুন দলের প্রতিও প্রভাব ফেলতে পারে।
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ রাজনৈতিক দৃশ্যে একটি পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এবং তাদের লক্ষ্য হবে দেশবাসীর জন্য একটি নতুন আশা ও সুযোগ সৃষ্টি করা।
মারিয়া