ছবি: সংগৃহীত
প্রতি বছর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা, যা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ। মূলত এটি ইসলামের দাওয়াতি আন্দোলন তাবলীগ জামাতের বার্ষিক বিশ্বসম্মেলন, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে লাখো মুসল্লি অংশ নেন। ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হল ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রচার ও মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা।
কবে থেকে শুরু?
বিশ্ব ইজতেমার সূচনা হয় ১৯৪৬ সালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে ছোট পরিসরে। পরে এটি বৃহৎ আকার ধারণ করে এবং ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০২৪ সালেও যথারীতি দুটি পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যাতে প্রথম পর্বে দেশের নির্দিষ্ট কিছু জেলার মুসল্লিরা এবং দ্বিতীয় পর্বে বাকি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন।
ইজতেমার মূল কার্যক্রম
ইজতেমার মূল আকর্ষণ হলো ইসলামী বয়ান, দোয়া মাহফিল, তাসবিহ-তাহলিল এবং শেষ দিনে আখেরি মোনাজাত। এখানে বক্তারা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও সামাজিক জীবনে এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন। কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম বা বক্তৃতা ইজতেমায় অনুমোদিত নয়।
বিশ্ব ইজতেমার গুরুত্ব
বিশ্ব ইজতেমা শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটি কোনো নির্দিষ্ট মাজহাবের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং সাধারণ মুসলিমদের ইসলামের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয় এখানে।
এই ধর্মীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন মুসল্লির সমাগম ঘটে, যার ফলে নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ইজতেমাকে সফল করতে কাজ করে।
জাফরান