ছবি: সংগৃহীত।
রাজধানী ঢাকায় কওমী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একজন নারী সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানাচ্ছেন যে, নারী সাংবাদিককে প্রবেশে বাধার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।
এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত এক পোস্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা উঠে আসে। এক নারী সাংবাদিক তার ফেসবুক ওয়ালে এটি শেয়ার করেন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হতে থাকে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৯ জানুয়ারি চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত কওমী উদ্যোক্তা সংগঠনের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি প্রায় ৪৫ মিনিট সময় সেখানে অবস্থান করেন এবং বক্তব্য দেন। তবে এ সময় নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না এবং কোনো সাংবাদিকও তার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেননি। যদি তিনি এমন কিছু জানতেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন।
ধর্ম উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে জানান, যদি কওমী উদ্যোক্তা সম্মেলনে এমন কিছু ঘটে থাকে, তা নিন্দনীয় এবং গ্রহণযোগ্য নয়। তবে, অনুষ্ঠানটির আমন্ত্রিত অতিথিকে এর জন্য দায়ী করা সঠিক নয়। তিনি এই পোস্টগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং ধর্ম উপদেষ্টা সবসময় সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করে আসছেন। এই মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিকদের প্রতি কখনও কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এরইমধ্যে অনেক নারী সাংবাদিক তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। ভবিষ্যতেও ধর্ম উপদেষ্টা ও তার মন্ত্রণালয় নারী সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাহায্য করে যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নুসরাত