ছবি: জনকণ্ঠ
গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর শিক্ষার্থীদের মেসে গিয়ে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। হামলায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে তিনজনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জের পাচুরিয়ার মেসে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর 'তোরা সমন্বয়ক তোরা আন্দোলন করিস' বলে হামলা চালানো হয়।
হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এসিই বিভাগের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা, ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ ও একই বিভাগপর ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াজদানী। এছাড়াও আহত হয়েছেন আসাদুল্লাহ এবং খালিদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা যায়, আক্রমণকারী, গোপালগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার সোহেলের ভাতিজা,সাংবাদিক কবিরের ছেলে ইফতি এবং তাদের সহযোগীরা মেসে মেসে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে হামলা করা হয় এসময় সন্ত্রাসীদের 'তোরা সমন্বয়ক তোরা আন্দোলন করিস' এসকল কথা বলতে শোনা যায়।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী ইয়াজদানী বলেন, " আমরা মেসে যাওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আমাদের পথ আটকিয়ে আমাদের পরিচয় জানতে চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি বলে জানাই। এতে তারা ' তোরা সমন্বয়ক সমন্বয়ক চোদাও বলে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে মেসে আসি তখন তারা মেসের ভিতর এসে পুনরায় আক্রমণ করে"
অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বলেন, "ছাত্রলীগের ইপ্তির নেতৃত্বে ২০-৩০ জন মিলে আমাদের উপর হামলা করা হয়। আমরা মনে করছি এটি পরিকল্পিত হামলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া সমন্বয়ক বলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। ইতিপূর্বেই তারা নতুন স্কুলের সামনে ছিনতাই করেছে।"
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মো আরিফুল ইসলাম বলেন, "মামলার সময় এখনও যায়নি আগে প্রশাসন বসুক আমরা বসি যেটা ভালো হয়। আর প্রক্টরিয়াল বডি মামলা করতে পারে না, রেজিস্টার মহোদয় মামলা করে।"
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করায় থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
নাহিদা