ছবি: সংগৃহীত।
পর্দানশিন নারীদের জন্য পাসপোর্ট সম্পর্কিত আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বর্তমানে, পাসপোর্ট রুল ১৯৫৫ অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকদের দেশ প্রবেশের জন্য পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক, যেখানে সাধারণত ব্যক্তির ছবি থাকতে হয়। তবে, পর্দানশিন নারীদের জন্য এই নিয়মে রয়েছে একটি বিশেষ ছাড়। পাসপোর্ট রুলের আওতায়, পর্দানশিন নারীদের ক্ষেত্রে ছবি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই, তবে তারা পুরুষ সঙ্গীর মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারেন।
এছাড়াও, দ্য ফরেনার এক্ট ১৯৪৬ এর নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকদের দেশে প্রবেশের পর নিবন্ধন করতে হয় এবং পুরুষ নাগরিকদের জন্য ছবির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু পর্দানশিন নারীদের ক্ষেত্রে ছবির পরিবর্তে পুরুষ সঙ্গীই নিবন্ধন ফর্ম জমা দেয় এবং ছবির কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
যতদূর জানা গেছে, যদি নিবন্ধন অফিসার মনে করেন যে, পর্দানশিন নারীর পরিচিতি যাচাইয়ের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন, তবে তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। এই নিয়মের ফলে, পর্দানশিন নারীদের জন্য পাসপোর্ট এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হয়েছে, তবে সমাধান এখনও পুরোপুরি অর্জিত হয়নি।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান মন্তব্য করেছেন যে, "বর্তমান প্রযুক্তির যুগে, যেখানে ছবি তুলতে অসুবিধা আছে, সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার প্রদান করা যেতে পারে। ছবির পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে এনআইডি দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে পর্দানশিন নারীদের জন্য তা অনেক সহায়ক হবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "লেটস ফাইট ফর আওয়ার সিস্টার্স," যার মাধ্যমে তিনি পর্দানশিন নারীদের জন্য আরও সমান অধিকার এবং সুযোগ প্রতিষ্ঠার পক্ষে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এখনো এই বিষয়ে কোনও আইনি পরিবর্তন বা নতুন নির্দেশনা আসেনি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পর্দানশিন নারীদের জন্য পাসপোর্ট ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।
এ বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা এবং আইনি পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
নুসরাত