প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচিকে জুলাই বিপ্লবের দেওয়াল চিত্রের ওপর প্রকাশিত ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ বই উপহার দেন
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। শুধু অব্যাহত রাখাই নয়, বরং প্রসারিত করব।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, জাপান বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার এবং তার সরকার এ সম্পর্ক আরও বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। তারা আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রধান উন্নয়ন সহযোগী।
জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। দেশটি অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং জাপান বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানি গন্তব্যের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৫০টির বেশি জাপানি কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এখন জাপানসহ পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষত সার্ক ও আসিয়ান সদস্যদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ খুঁজছে।
আমরা পশ্চিম ও পূর্ব উভয়ের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। এটি ব্যবসার সময়- বলেন তিনি।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দেশটির অর্থায়নে চলমান বড় প্রকল্পগুলোর ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। যার মধ্যে অন্যতম মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্প।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের প্রতি জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে জাপানের সহযোগিতা চান।