ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এক প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ (৩০ জানুয়ারি) আইসিজি তাদের সর্বশেষ ওয়াচলিস্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশসহ মোল্দোভা, কলম্বিয়া, উত্তর কোরিয়া, সুদান, গ্রীট লেকস, ইউক্রেন, সিরিয়া, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এবং ইরানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যে সমর্থন ছিল তা এখন কমে গেছে। ইউনূস সরকারের ওপর বাস্তব ফলাফল দেখানোর চাপ বাড়ছে। সরকার শুধু রাজনৈতিক দলের বিভেদ মেটানোর চেষ্টায় ব্যস্ত নয়, বরং সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে।"
প্রতিবেদনটি শিরোনাম করা হয়েছে "বাংলাদেশ: গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের দুঃসাহসিকতা।" এতে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, কারণ বিরোধী দল, ছাত্র সংগঠন, ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এবং অন্যান্য প্রভাবশালী পক্ষগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিজেদের সুবিধা নিতে চাইবে।
প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। হাসিনা সরকারের প্রতি ভারতের সমর্থনের উল্লেখ করে এটিকে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আইসিজির সিনিয়র কনসালটেন্ট থমাস ক্যান বলেছেন, "অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে, যা শেখ হাসিনার সরকারের সময়কালের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফল। জনগণ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সুফল দেখতে কিছুটা সময় নেবে। তবে, আগামী এক বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটানোর একটি বিরল সুযোগ রয়েছে, যা অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক হতে পারে।"
আইসিজি জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং এর সদস্য দেশগুলোর জন্য এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনকে সমর্থন করার একটি বড় সুযোগ হতে পারে।
সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
নাহিদা