দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ফের পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা, যা আগামী বছরের অক্টোবরে আবারও খুলে দেওয়া হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত সরকারের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর হচ্ছে, যা কক্সবাজার জেলা প্রশাসনও নিশ্চিত করেছে।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই দুই মাস ছিল সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের জন্য অনুমোদিত সময়কাল। তবে, পুরো সময়টা ব্যাপক বিধিনিষেধের মধ্যে পর্যটকদের দ্বীপে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রতি দিনে ২ হাজার পর্যটকের বেশি যাওয়ার অনুমতি ছিল না, যা সেন্ট মার্টিনে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ছিল সীমিত। এই দুটি মাস ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সুযোগ, কিন্তু এখানেও বিধিনিষেধ ছিল, যার ফলে পর্যটক সংখ্যা ছিল কম।
তবে, সেন্ট মার্টিনের পর্যটন ব্যবসায়ী ও দ্বীপবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, কারণ সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী পর্যটকদের ভ্রমণ শুধুমাত্র দুই মাসের জন্য দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, এই সময়সীমা অন্তত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা উচিত, কারণ মাত্র দুই মাসে ব্যবসা করতে গিয়ে পরবর্তী ১০ মাসের জন্য প্রস্তুতি নিতেই তারা পর্যাপ্ত আয় করতে পারেন না।
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, তাদের জীবিকা চলে পর্যটন ব্যবসা দিয়ে, বিশেষ করে এই দুই মাসেই তারা তাদের বছরের অধিকাংশ আয় করে থাকেন। কিন্তু, দুই মাসে তাদের আয় এতটা কমে যাওয়ায় তারা প্রবলভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। দ্বীপবাসীরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তাদের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাবে।
একইভাবে, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই মাসে তারা পূর্ণ ব্যবসা করতে পারেন না, এবং এই অবস্থায় তাদের হাতে কোন বিকল্প নেই।
এদিকে, সেন্ট মার্টিনে পর্যটন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করতে পর্যটন সীমিত করার উদ্যোগ কি কার্যকরী হবে?
এই পরিস্থিতিতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে তারা কিছুটা আয় করতে পারেন এবং সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দাদের জন্য জীবনযাপন সহজ হয়।
সূত্র: https://tinyurl.com/3f8k83dh
আফরোজা
