ছবিঃ সংরক্ষিত
বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা মুসলিম মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য নতুন এবং স্পষ্ট কারণ নির্ধারণ করেছে। এই আইনের অধীনে, যেসব কারণে মুসলিম বিবাহিত মহিলা তার বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারেন, তা হল:
১. স্বামী নিরুদ্দেশ: যদি স্বামী চার বছর ধরে নিখোঁজ হন, তাহলে স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদ দাবি করতে পারেন।
২. ভরণ-পোষণের অবহেলা: যদি স্বামী দুই বছর ধরে স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দিতে ব্যর্থ হন।
৩. অতিরিক্ত স্ত্রীর গ্রহণ: যদি স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত স্ত্রীর গ্রহণ করেন।
৪. কারাদণ্ড: যদি স্বামী সাত বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
৫. দাম্পত্য দায়িত্বে ব্যর্থতা: যদি স্বামী তিন বছর ধরে দাম্পত্য দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন।
৬. পুরুষত্বহীনতা: যদি বিবাহের সময় স্বামী পুরুষত্বহীন হন এবং তা এখনও চলতে থাকে।
৭. স্বামীর পাগল হওয়া বা গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়া: দুই বছর ধরে স্বামী পাগল হলে বা গুরুতর রোগে ভুগলে।
৮. নিষ্ঠুর আচরণ: স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেন, যেমন শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার, ধর্মীয় কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করা বা সম্পত্তি দখল করা।
এছাড়া, যদি স্বামীর ঠিকানা জানা না থাকে, তবে তার উত্তরাধিকারীদের উপর নোটিশ জারী করা হবে, এবং মামলায় তাদের বক্তব্য পেশ করার অধিকার থাকবে।
এই আইনে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করার পরেও, যদি স্বামী তার আচরণ পরিবর্তন করে এবং আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারে যে তিনি দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত, তাহলে আদালত সেই ডিক্রি বাতিল করতে পারবেন।
মুসলিম আইন অনুযায়ী, এই সমস্ত শর্ত পূরণ হলে, বিবাহিত মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ডিক্রি লাভের অধিকারী হবেন।
মারিয়া