![ধর্মান্তরের পরও মুসলিম নারীদের বিবাহবিচ্ছেদের সুবিধা, আইনে কী আছে? ধর্মান্তরের পরও মুসলিম নারীদের বিবাহবিচ্ছেদের সুবিধা, আইনে কী আছে?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/befunky_2025-0-4_11-50-6-2501300554.jpg)
ছবিঃ সংরক্ষিত
বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহ আইন (১৯৩৯) সংশোধন করে নতুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান আনা হয়েছে। ১৯৩৯ সালের ৮নং আইন, যা ১৭ই মার্চ গভর্ণর-জেনারেলের সম্মতিতে পাশ হয়েছিল, সে আইনের অধীনে বিবাহিতা মুসলিম মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এখন, মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য বিবাহিতা মহিলাদের কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণে ডিক্রি লাভের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে:
১. স্বামী চার বছর ধরে নিখোঁজ থাকলে।
২. স্বামী দুই বছর ধরে স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দিতে ব্যর্থ হলে।
৩. স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে।
৪. স্বামী সাত বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে।
৫. স্বামী যদি তিন বছর ধরে দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন।
৬. বিবাহকালে স্বামীর পুরুষত্বহীনতা থাকলে, এবং তা এখনও চলতে থাকলে।
৭. স্বামী যদি দীর্ঘ সময় পাগল হয়ে যান বা গুরুতর রোগে আক্রান্ত হন।
৮. যদি বিবাহের সময় মহিলার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হয়ে থাকে এবং তিনি ১৯ বছর বয়সের আগেই বিবাহ বাতিল করেন।
৯. স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেন, অশালীন জীবনযাপন করেন বা স্ত্রীর ধর্মীয় কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করেন।
এছাড়া, যদি স্বামী তার ঠিকানা না জানাতে পারেন, তবে আদালত তার উত্তরাধিকারীদের উপর নোটিশ জারী করার নির্দেশ দিতে পারেন।
এছাড়া, ধর্মান্তরের পরও যদি মুসলিম মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, তবে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য নতুন হেতুবাদে ডিক্রি লাভের অধিকারী হবেন। তবে, ধর্মান্তরের পর পুনরায় ইসলাম গ্রহণকারী মহিলার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না।
মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী, যেকোনো বিচ্ছেদের কারণে মহিলার দেহমোহর বা অন্যান্য অধিকার ক্ষুন্ন হবে না। ১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারাও এই আইন দ্বারা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
মারিয়া