কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
রানিং স্টাফদের আন্দোলনের মুখে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত সারাদেশের সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি বাস চলমান থাকবে বলে রেলওয়ে থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মধ্য রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন। তিনি জানান, ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত চলাচলকারী ট্রেন বাতিল করা হলো। যাত্রীদের টিকিট রিফান্ড অপশন অচিরেই চালু করা হবে।
নাহিদ হাসান খাঁন জানান, রানিং স্টাফের ধর্মঘটের কারণে দেশব্যাপী রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে এবং বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকা অভিমুখে চলমান বি আর টি সি এর বাস সার্ভিস অব্যাহত থাকবে। যাত্রী সাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুঃখ প্রকাশ করছে।
এদিকে, অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশন) দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে- রানিং স্টাফদের বিভিন্ন দাবির কারণে কর্মবিরতিতে ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে কোনো ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে যাত্রী হয়রানি রোধে ও রেলওয়ের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত পরিচালিত ট্রেনগুলোর যাত্রী টিকিট ১০০ শতাংশ রিফান্ডের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল। এছাড়া কন্ট্রোলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে এ বিষয়ে তদারকি অব্যাহত রাখার জন্য জানানো হল।
এর আগে মাইলেজ সুবিধার দাবিতে সোমবার রাত ১২টার পর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এরপর থেকেই সারা দেশের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে রেল চলাচল। বাতিল করা হয়েছে আন্তঃনগর-লোকালসহ সকল ট্রেনের যাত্রা। দিনভর ভোগান্তিতে ছিলেন সাধারণ যাত্রীরা। এ পরিস্থিতিতে সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, আলোচনার দরজা খোলা আছে। প্রয়োজনে আবারও আলোচনা করা হবে। এরপর দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, রেলকর্মীদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। যে কোনো যৌক্তিক দাবি এলে অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না।
বিষয়টির সমাধানে আন্দোলনরত রানিং স্টাফদের নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে বৈঠকে বসেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম। সেখানে আন্দোলনরত রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।
শহীদ