সিইসির সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে নির্বাচন প্রস্তুতির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ১৫০ প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত জানান, পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচন করতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ইইউ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা অক্ষুণœ রাখতেও একমত ইইউ। সংস্কারকে গুরুত্ব দিয়েছে ইইউ। ইইউ মনে করে সংস্কারের সময়টা কম হয়েছে।’
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, গণতান্ত্রিক যাত্রায় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ইইউ। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ইসির স্বাধীনতা খর্ব হয় এমন কিছুতে আপত্তি জানানো হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে। সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য।
সিইসি বলেন, ইইউ জানতে চেয়েছে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য যে নির্বাচন হবে তার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত আছি। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে আরম্ভ করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে প্রস্তুতি তার টাইমলাইন কী রকম হবে ইত্যাদি জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তারা সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। তারা চান যে, ডেমোক্র্যাটিক ট্রানজেকশনটা হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা দরকার তারা সহায়তা করবেন।
কী ধরনের সহায়তা দেবেন জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উনারা লোক পাঠাবেন। পর্যালোচনা করে পরে আমাদের জানাবেন। উনাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা চাচ্ছেন পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে। আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের। কেননা, আমরা তো সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের যে প্রতিশ্রুতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, এতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছি। এ কথা তাদের বলেছি। তারা খুশি হয়েছেন। আমরা যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
সংস্কার নিয়ে কী জানিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের মতামত আমরা দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, সেটা যেন গ্যারান্টেড থাকে, সেটা উনাদের জানিয়েছি। ইসির স্বাধীনতা কম্প্রোমাইজ হোক এটা আমরা চাই না। তারা এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন যে ইসি শুড বি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। অন্যথায় জাতি যা প্রত্যাশা করে সেটা তারা দিতে পারবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক স্বাধীনতা অক্ষুণœ থাকার গ্যারান্টি চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, ইসির স্বাধীনতা খর্ব হোক, এটা আমরা চাই না।
তারা কী ধরনের সহায়তা দেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা লোক পাঠাবেন। পর্যালোচনা করে পরে আমাদের জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা চাচ্ছেন পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে। আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের। কেননা, আমরা তো সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে ছিলেন ইইউর দু’জন গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞ।