ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিশ্চিত করেছে যে, ২০১৮ সালে কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনেছিল, তা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং ব্যাপক দুর্নীতির ছাপ রয়েছে।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রে এই নিম্নমানের ইভিএম কেনা হয়েছিল। প্রায় ৩ হাজার ৮শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ব্যাপক অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক নূর আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে কেনা দেড় লাখ ইভিএম এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইসির বিভিন্ন গুদামে এই অকেজো ইভিএমগুলো গুটিয়ে রাখা হয়েছে। দুদকের অভিযানে এই ইভিএমগুলোতে ব্যাপক ত্রুটি ধরা পড়েছে।
প্রকল্পের বিস্তারিত: প্রতিটি ইভিএম সেটের দাম ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৩ টাকা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্প অনুমোদন পায়। ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ইসিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।
নিম্নমানের ইভিএম কেনার মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
ইসির বিভিন্ন গুদামে সংরক্ষিত সব ইভিএম তদন্ত করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনাটি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রশ্ন তুলেছে।
সূত্র: https://www.facebook.com/DbcNewsDaily/videos/1000857748613655/?app=fbl
ইসরাত