চাকরী জাতীয়করণের দাবি নিয়ে অবস্থানরত এবতেদায়ী শিক্ষকদের সাথে পুলিশের ধাওয় পাল্টা ধাওযার এক পর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও জল কামান নিক্ষেপ ও আন্দোলনে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এই সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা এবং সরকারের কৌশল নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উপস্থাপক প্রশ্ন করে এটা সরকারের কেমন আচরণ বা কার মত আচরণ?
আনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ফয়েজ আহমেদ,প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব বলেন,এটা সরকারের বা আচরণ বা কার মত আচরণ নয় বরং এটা কোন পুলিশের আচরণ সে বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করবে না এই আকাঙ্ক্ষাও জনগণের থাকবে আবার পুলিশের রিফর্ম করতে চাইলে সেই জায়গাতও জনগণ বাধা দিবে। ফয়েজ আহমেদ মনে করেন এটা এক ধরনের সাংঘর্ষিক মনোভাব।
তিনি বলেন,সরকারের এই পাঁচ মাসে মানুষ শত শত দাবী দাওয়া নিয়ে রাস্তায় এসেছে।দাবিদার মধ্যে অনেক ন্যায্য দাবিও আছে আবার অন্যায্য দাবিও আছে।গত ১৬ বছরে মানুষ সরকারের কাছে যেসব দাবি দাওয়া জানাতে পারেনি ,সেসব ন্যায্য দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে। অনেক সুপরিকল্পিত দাবি-দাওয়াও আছে যা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে সরকারের কাজে বাধা বা বিঘ্ন ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব দাবি নিয়ে রাস্তায় নামা হচ্ছে।
সরকার জনগণের উদ্দেশ্যে বারবার বলেছে, আপনার আপনাদের ন্যায্য দাবি সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছান। এভাবে রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনগণের সাধারণ জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটাবেন না।সরকার যখন বারবার নরম সুরে জনগণকে এই বিষয়টা বুঝাচ্ছে ,এটাকে আবার অনেকেই সরকারের দুর্বলতা হিসেবে ধরে নিচ্ছে।
কখনো শিক্ষক, কখনো ছাত্র, কখনো রিক্সা শ্রমিক, কখনো আনসার আন্দোলন করে রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে। সরকারের দায়িত্ব যান চলাচল নিশ্চিত রেখে জনগণের সাধারণ জীবনযাত্র্রা স্বাভাবিক রাখা।এই কাজ করতে গিয়ে সরকারকে একটু কঠোর হতে হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ বলছেন,এই সরকারের এই কঠোর হওয়ার পদ্ধতি টাতে পরিবর্তন হওয়া দরকার।দেশে প্রথমে পুলিশের একটা রিফর্ম হওয়া দরকার। কিভাবে একটা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করবে এই জায়গাগুলোতে নতুন করে প্রশিক্ষণের দরকার হতে পারে, সময় দিতে হবে এবংআইনকানুন সংস্কার করতে হবে।
সূত্র:https://tinyurl.com/4n7c56td
আফরোজা