ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

ঢাকার গণপরিবহনে নৈরাজ্য

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

প্রকাশিত: ০১:১৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকার গণপরিবহনে নৈরাজ্য

.

রাজধানীর গণপরিবহনের অবস্থা শোচনীয় লক্কড়ঝক্কড় গণপরিবহন। নেই যাত্রী সেবা। ভালো বাসের সংখ্যা নিতান্তই কম। বাসে চড়তে নিত্যদিনের ধাক্কাধাক্কি। নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের অবস্থা একেবারেই কাহিল হয়ে পড়ে। ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠতে পারেন না তারা। তাই প্রতিদিন আধঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট বাসের অপেক্ষায় থাকতে হয় তাদের। ঢাকার গণপরিবহনের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান নগরবাসী।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী ‘গণপরিবহন’ অর্থ ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত বা ব্যবহারের জন্য উপযোগী যে কোনো মোটরযানকে বোঝানো হয়। সে হিসেবে ঢাকায় যে সব গণপরিবহন চলাচল করে সেগুলো হলো-বাস, মিনিবাস, লেগুনা, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। কিন্তু এর বাইরেও যাত্রী পরিবহনে ভাড়ায় চালিত আরও অনেক মোটরযান চলাচল করে। এর মধ্যে অ্যাপসের মাধ্যমে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা গণপরিবহনের সংজ্ঞার মধ্যে না পড়লেও ঢাকাসহ সারাদেশে এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে হারিয়ে গেছে ট্যাক্সিক্যাব। হলুদ ও কালো রঙের এই গণপরিবহনটি বর্তমানে ঢাকায় আর দেখা যায় না।
বাস, মিনিবাস ও লেগুনার অবস্থা ভয়াবহ। ভাঙা-নোংরা সিট ও লক্কড়ঝক্কড় বডি নিয়েই চলছে এই সব গণপরিবহন। যাত্রী সেবা তো দূরের কথা বসার সিটের অবস্থাও করুণ। প্রতিনিয়ত ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয় যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের। সরকার নির্ধারিত ভাড়া মানে না কেউ। মিটারের কথা বললে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সিএনজি অটোরিক্সার চালক। মিটারের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া নেওয়া হয় সিএনজিতে। অথচ এই গণপরিবহনেই সবচেয়ে বেশি চলাচল করেন যাত্রীরা। যারা গণপরিবহন ব্যবহার করেন, তারা ছাড়া এই কষ্ট কেউ বোঝে না। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ বর্ণনাতীত। তবে যারা গণপরিবহন পরিচালনা বিষয়ে নীতি-সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তারা গণপরিবহন ব্যবহার করেন না। তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা কেউ চিন্তা করে না বলে জানান যাত্রীরা।
সরেজমিনে রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট মোড়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা। বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা। বাসের সংখ্যা কম। দীর্ঘক্ষণ পর পর একটি-দু’টি বাস আসামাত্র হুড়োহুড়ি করে ওঠার চেষ্টা করেন অনেকেই। এর মধ্যে যারা নারী ও বয়স্ক, ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠতে পারে না তারা। তাই কয়েকবার চেষ্টার পর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসে উঠতে সক্ষম হয় শারমিন নামের এক যাত্রী।  
তিনি জনকণ্ঠকে জানান, তার বাসা যাত্রাবাড়ীর দোলাইরপাড় এলাকায়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। প্রতিদিন অফিস শেষে বাসায় যেতে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা বেজে যায়। অফিস থেকে বের হওয়ার পর বাস পাওয়া কঠিন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বাস এলেও ভিড়ের কারণে ওঠা যায় না। ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠতে হয়। পুরুষরা হুড়োহুড়ি করে বাসে উঠে যায়। কিন্তু মহিলারা পারে না। অনেক বাসে আবার সিট না থাকলে মহিলা যাত্রী তুলতে চায় না। অথচ মহিলাদের সিটগুলোতে পুরুষরা বসে থাকে। এ ছাড়া ছোট্ট একটি দরজা দিয়ে এক সঙ্গে ১০-১২ জন যাত্রী বাসে ওঠার চেষ্টা করে। এতে ধাক্কাধাক্কি বেশি হয়। এক সময় কাউন্টার ভিত্তিক বাস চলাচল করত। তখন আগেই টিকিট কেটে লাইন ধরে বাসে ওঠা যেত। এভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। এখন বাসগুলোর নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। গাদাগাদি করে যাত্রী তোলে আবার  যেখানে-সেখানে নামিয়ে দেয়।
মনির হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘শুধু গুলিস্তান নয়। পুরো ঢাকা শহরের গণপরিবহনের অবস্থা খুবই খারাপ। বাস, মিনিবাস ও লেগুনা সবগুলোর একই অবস্থা। লক্কড়ঝক্কড় পরিবহনে নেই যাত্রী সেবা। ঢাকার বাসগুলো এমনভাবে তৈরি,  যেখানে আপনি পুরোটাই জিম্মি। ৩৮-৪৫ সিটের বাসে নেওয়া হয় দ্বিগুণ যাত্রী। কিন্তু বাসের ভেতরে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। বাসের ভেতরে যাত্রীদের গায়ের সঙ্গে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। এর মধ্যে আবার কন্ডাক্টর (চালকের সহযোগী) বাসের ভেতরেই ভাড়া আদায় করে। তখন অবস্থা আরও খারাপ হয়। ঢাকার মতো এই বাজে গণপরিবহন বিশে^র কোথাও নেই।’
প্রতিটি বাসে অতিরিক্ত সিট যুক্ত করা হয় ॥ রাজধানীর সিটি সার্ভিসের প্রতিটি বাসের নির্ধারিত সিটের (আসন) সঙ্গে বাড়তি আরও আসন যুক্ত করা হয়। এতে বাসের ভেতর দাঁড়াতে সমস্যা হয় যাত্রীদের। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ তথ্যমতে চালকের সিটসহ একটি বড় বাসে আসন থাকবে ৫২টি। মিনিবাসের আসনসংখ্যা হবে ৩১টি। বর্তমানে নগরীতে যেসব বাস চলাচল করে সেগুলো বাস ও মিনিবাসের মাঝামাঝি আকারের। এ সব পরিবহনকে বাস হিসেবেই নিবন্ধন দেয় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ সব বাসে আসনসংখ্যা থাকে ৩৬ থেকে ৩৮টি। কিন্তু বাস্তবে ৩১ আসনের মিনিবাসে ৩৬-৪০টি আসন করা হয়। এ ছাড়া ৩৬ আসনের বাসে ৪০ থেকে ৪৬টি আসন করা হয়।
অথচ সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা অনুসারে, প্রতিটি বাসে যাত্রীর জন্য অন্তত ১৬ বর্গ ইঞ্চি বসার জায়গা রাখতে হবে। একটি আসন থেকে অন্য আসনের মধ্যে স্পষ্ট ব্যবধান থাকতে হবে অন্তত ২৬ ইঞ্চি। আসন যদি মুখোমুখি হয়, তাহলে ফাঁকা জায়গা থাকতে হবে এর দ্বিগুণ। নির্ধারিত সংখ্যার বেশি আসন বসানো যাবে না। ঢাকার বাস ৯৫ শতাংশ আসন পূর্ণ করে চলাচল করবে; বাসের পা-দানি ও দরজায় ঝুলিয়ে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু বেশিরভাগ বাসেই তা মানা হয় না। ঢাকার সব বাসেই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী-মিরপুর রুটের শিকড় পরিবহনের এক চালক জানান, গত ১০ বছর যাবত ঢাকায় বিভিন্ন কোম্পানির বাস চালিয়েছেন তিনি। গত এক বছর যাবত শিকড় পরিবহনে আছেন। শিকড় পরিবহনে আগে ১০০টির মত বাস ছিল। এখন ৮০-৯০টি বাস চলাচল করে। প্রতিটি বাসে নির্ধারিত সিটের ৩৮টি। সেখানে ৪১-৪৬টি সিট করা হয়। বাসের ভেতরে অতিরিক্ত সিটের কারণে যাত্রীরা স্বস্তিতে দাঁড়াতেও পারে না। প্রতিটি বাসে দাঁড়িয়ে ও বসে ৭০-৮০ জন যাত্রী নেওয়া হয়। বেশি যাত্রী নিলে মালিকের চেয়ে চালক ও কন্ডাক্টরের লাভ বেশি। মালিক শুধু জমার টাকা নেয়। কিন্তু বাকি টাকা সব চালক ও কন্ডাক্টরের পকেটে যায়। তাই গাড়ি প্যাকেট (পরিপূর্ণ বোঝাই) না হওয়া পর্যন্ত যাত্রী  তোলা হয়।  
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্স সিলভা পরিবহন কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম খোকন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘৯ মিটার বাসে সরকারিভাবে ৩৮টি সিট নির্ধারিত থাকে। কিন্তু ঢাকায় যানজটের কারণে যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর যেতে যেখানে আধাঘণ্টা লাগত, এখন সেখানে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগে। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে যাত্রীদের কষ্ট হয়। এজন্য অনেক বাসের অতিরিক্ত সিট সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ঢাকায় কোনো মিনিবাস নেই। সব বাসই বড় বাস হিসেবে নিবন্ধন করা হয়। এক সময় আমাদের ১২ মিটারের ৬০ সিটের বাস চলাচল করত। কিন্তু ১০ বছর পর আমাদের বড় বাসের চলাচলের আর অনুমোদন দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ছোট বাস চালু করা হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন ফি নেওয়া হচ্ছে বড় বাস হিসেবেই।’
৬৪ শতাংশ মানুষ বাসে চলাচল করে ॥ ঢাকা ও এর আশপাশের মানুষ দিনে দুই কোটির বেশিবার যাতায়াত (ট্রিপ) করেন। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ মানুষ বাস ব্যবহার করে বলে ঢাকার ২০ বছরের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আএসটিপি)’তে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ এই গণপরিবহনেই যাত্রীদের সেবার মান খুবই খারাপ। সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএ, বিআরটিসি, ডিটিসিএ, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেমন সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। এসব কারণেই সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। দুর্ঘটনাও কমছে না। এজন্য পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত সংস্কারের পরামর্শ গণপরিবহন বিশেষজ্ঞদের।
এ বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘গণপরিবহন ৫৩ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর ব্যক্তিগত যানবাহন যাত্রী বহন করে ১১ শতাংশ। অথচ ব্যক্তিগত যানবাহন ৭০ শতাংশ সড়ক দখল করে চলে। ৩০ শতাংশের কম জায়গায় চলে গণপরিবহন। এটি সাধারণ মানুষের প্রতি চরম বৈষম্য। তাই অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অনুপযুক্ত সড়ক এবং মালিক শ্রেণির অপেশাদারী ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অগণিত মানুষ হতাহত হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিতদের অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির এবং পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষ।’ তাই পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে বলে জানান তিনি।
হারিয়ে গেছে ট্যাক্সিক্যাব ॥ বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে দেখা যায় না ট্যাক্সিক্যাব। ২০২৩ সাল থেকে এই গণপরিবহনটি আর চলাচল করছে না। প্রথম অবস্থায় ২০০২ সালে কালো ও হলুদ রঙের ১১ হাজার ২৬০টি ট্যাক্সিক্যাব নামানো হয় ঢাকায়। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে ঢাকায় ৫০০ ট্যাক্সিক্যাব নামানোর জন্য তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টকে অনুমোদন দেয় সরকার। তখন তমা কনস্ট্রাকশন ঢাকায় ২৫০টি ট্যাক্সিক্যাব চালু করে। এ ছাড়া সেনাকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ঢাকায় ১০০টি ও চট্টগ্রামে ৫০টি ট্যাক্সি নামানো হয়। পরে ঢাকায় আরও ২৫টি এবং চট্টগ্রামের ৫০টি ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় সর্বমোট ১৭৫টি ট্যাক্সিক্যাব চালু করে সেনাকল্যাণ সংস্থা।
সরকারিভাবে ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়া নির্ধারিত ছিল প্রথম দুই কিলোমিটার ৮৫ টাকা। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ৩৪ টাকা। প্রতি দুই মিনিট ওয়েটিংয়ের জন্য সাড়ে ৮ টাকা। প্রথম দিকে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিসটি ভালোই ছিল। কিন্তু পরে ভাড়ায় বৈষম্য, পার্কিংয়ের জায়গা না থাকা, বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ঢাকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়া এবং অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস চালু হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে তমা ট্যাক্সিক্যাব কোম্পানি ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারিভাবে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আমাদের ট্যাক্সিক্যাব চলাচলের অনুমোদন ছিল। পরে আরও এক বছরের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। তাই ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকায় ট্যাক্সিক্যাব চলাচল করতো। পরে আর সময় বাড়ানো হয়নি। তাই ২০২৩ সালের পর থেকে ট্যাক্সিক্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। প্রথমদিকে ভালোই চলাচল করত। কিন্তু যখন অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস চালু হলে কিছুটা সমস্যায় পড়ে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস।’ তবে এখনো ঢাকায় ট্যাক্সিক্যাবের চাহিদা রয়েছে। কারণ ট্যাক্সিক্যাব একটি নিরাপদ যাত্রী সার্ভিস। এই সার্ভিসের মাধ্যমে যাত্রী নিরাপদে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারত।’

×