প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন।
সংস্কার কমিশন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন তারা অত্যন্ত অভিজ্ঞ লোক। তারা অনেক সুপারিশ দিয়েছেন। আমাদের কাছে কোন সুপারিশ গ্রহণযোগ্য তা এখনই বলতে পারছি না। কারণ আমি ওইদিন শুনলাম বলতে একটা কথা, যিনি জুতা পায়ে দেন তিনি জানেন পেরেকটা কোথায় খোঁচাচ্ছে। এ কারণে জুতা পায়ে না দিলে বুঝতে পারবেন না যে ব্যথাটা কোথায় লাগতেছে। জুতা দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু পরলে বুঝবেন পায়ের কোথায় সমস্যাটা, কোথায় কেটে যাচ্ছে, কোথায় ফোসকা পড়তেছে।
তিনি আরো বলেন, সুপারিশ তো অনেক দেওয়া যায়। কিন্তু যিনি বাস্তবায়ন করেন তিনি জানেন এটি কি আসলেই বাস্তবায়নযোগ্য কিনা। আমরা সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সারমর্মগুলো রিভিউ করে দেখেছি।
সিইসি আরো বলেন, আমাদের নির্বাচনের সাংবিধানিক ম্যান্ডেটগুলো হচ্ছে এক নম্বরে প্রেসিডিন্সিয়াল নির্বাচন করি, দ্বিতীয়তে পার্লামেন্টারি ইলেকশন করি, তিন নম্বর হচ্ছে আমরা ভোটার রেজিষ্ট্রেশন করি, চার নম্বর ডিলিমিটেশন এক্সারসাইজটা করি। এছাড়া আইনের দ্বারা দায়িত্ব আসলে যেমন- স্থানীয় নির্বাচন করে থাকি।
তিনি বলেন, এই ৪ টি ম্যান্ডেট থেকে ডিলিমিটেশন আমাদের থেকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ দেন তারা। এটার জন্য নাকি স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। ডিলিমিটেশন সাংবিধানিক ম্যান্ডেট। এটির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে ডিলিমিটেশন করে দিতে বললে ইলেকশনের সময়ই পার হয়ে যাবে কারণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। উনি তো স্বাধীন। সুতরাং সময়মত ও যথার্থভাবে করার জন্য অন্য কতৃপক্ষকে দেওয়া আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করিনা।
নাহিদা