চমক দেখালো ড. ইউনূসের নেতৃত্ব

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার উদারনৈতিক এবং সংস্কারমুখী অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ করছে।  ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের শিল্প ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জ্বালানি খাতে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে।

তারই ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় চুক্তি। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর শেয়ার করেন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তিনি ফেসবুকে লেখেন, "আজ বাংলাদেশের সরকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন জ্বালানি রপ্তানি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ‘Drill, Baby, Drill’ ছিল অন্যতম, যা তার জ্বালানি রপ্তানি উদ্যোগকে সামনে নিয়ে এসেছে। আমরা এই উদ্যোগে প্রথম অংশীদার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি।"

আশিক চৌধুরী বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট নিয়ে লেখেন, "আমাদের দেশে গ্যাসের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। শিল্পখাতের সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমাদের টেকসই সমাধান প্রয়োজন। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের বিকল্প হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একটি চমৎকার সুযোগ দিয়েছে।"

চুক্তিটির কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, "এই চুক্তির তাৎপর্য আমাদের অর্থনৈতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী। ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি ও ফলাফলনির্ভর নীতি অনুসরণ করে। ভবিষ্যতে, যখন আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অন্যান্য ইস্যুতে কাজ করব, তখন আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারব, বাংলাদেশ তাদের প্রথম অংশীদার ছিল। তাদের 'America First' আমাদের 'Bangladesh First'-এর সঙ্গে একাত্ম হয়ে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।"