ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশেদ চৌধুরী

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশেদ চৌধুরী

১৫ই আগস্ট, ১৯৭১। সেদিন সকাল থেকে রেডিওতে ঘোষণা হচ্ছিল শেখ মুজিব ইজ ডেড। কথা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং রাজাকার ইস্যুতে। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভে প্রথমবার মুখ খুললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত এম রাশেদ চৌধুরী বীরপ্রতীক।

রাশেদ চৌধুরী জানান, ঐ সময় আমার কোন পলিটিকাল এলিমেন্ট দের সাথে কোন যোগাযোগ আমার ছিল না। আমি জয়েন করার সাথে সাথে আমি জেড ফোর্স এ ছিলাম। জিয়াউর রহমানের আমি সামনে ছিলাম, যুদ্ধের ময়দানে ছিলাম।

আমার ইউনিট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অন্যান্য ইনফ্যান্ট্রি ইউনিট এর সাথে আমার দেখা সাক্ষাৎ কোন পলিটিকাল এলিমেন্ট কেউ আমাদের ক্যাম্পে আসে নাই। কারো সাথে আমার কোন দেখা হয় নাই।

যতটুক আলোচনা হয়েছে ওই মুজিবনগরে তারপরে আগরতলায় এই কয়েকজনের সাথে। তারপরে আমার কোন পলিটিকাল এলিমেন্ট এর সাথে আলাপ হয় নাই। আর আমাদের ক্যাম্পে আশে পাশে কেউ আসে নাই। যুদ্ধের সময় আমি এদের সাথে দেখতে পাইনি। পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পরে অনেক কাহিনী শুনেছি যে রাজাকার কে কি করেছে ধরেছে কিছু বিশ্বাস করেছে, কিছু বিশ্বাস উপযুক্ত নয়। তখনকার সময় আমি কিছু বুঝতে বা দেখতে পায়নি।

সাংবাদিক ইলিয়াসের আপনাদের কাছে এই অভিযোগ আসে নাই যে, জামায়াত ইসলামের লোকজন এই যে রাজাকাররা মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে পাকিস্তানিদের কাছে দিচ্ছে, তারপরে এরা আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে মাটিতে তারা তো একটা পার্ট ছিল আপনাদের বিপরীত পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তাদের সাথে কখনো আপনাদের যুদ্ধ যুদ্ধ হয় নাই প্রশ্নের জবাবে রাশেদ চৌধুরী বলেন,না সেভেনটি ওয়ানে আমার ওরকম কোন অভিজ্ঞতা নাই। অভিজ্ঞতা অন্তত আমি যেখানে ছিলাম মানে আমাদের দেশের পূর্বাঞ্চলে। আমি ছিলাম সম্মুখ যুদ্ধে পিছনে কে কি হয়েছে, কোন ক্যাম্পে টাইপের আমি খুব একটা জানি। দু'একবার রিক্রুট করার জন্য গেছি । আমার কোন পলিটিকাল এলিমেন্টের সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয় নাই। আমি জানি না। আমি বলতে পারব না এগুলা পরবর্তী পর্যায়ে। বাংলাদেশ হওয়ার পরে বিভিন্ন অনেক কাহিনীটা শুনেছে। কিন্তু আমার যুদ্ধের সময় কারো সাথে এরকম কোন মোলাকাত হয়নি, দেখা হয়নি।

জি স্যার, আমরা শুনেছি যে আপনাদের সাথে জামায়াত ইসলামেরই সবচাইতে বেশি যুদ্ধ হয়েছে। রাজাকাররা খুব অর্গানাইজড একটা বাহিনী ছিল। তাদের অস্ত্র ছিল পাকিস্তানের প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ চৌধুরী বলেন,ইন মাই এরিয়া নট ইন মাই জেড ফোর্স। যেখানে জেড ফোর্সের সাথে আমি ছিলাম। জিয়াউর রহমানের ফোর্সের সাথে আমি সরাসরি কানেক্টেড ছিলাম এইট বেঙ্গলের সাথে এবং পরোক্ষভাবে আমার আর্টিলারি সাহায্য আমি দিয়েছি। থার্ড বেঙ্গল এবং ফার্স্ট বেঙ্গল মানে আমার সাথে এমন কোন পলিটিকাল এলিমেন্টের তখন কোন দেখাসাক্ষাৎ হয় নাই। থাকতে পারে, বাট আমার সাথে কোন একটা কথা আমি বলছিলেন। আমি সত্যিকথা বলতে কি, আমি যুদ্ধের একটু শেষের দিকে জয়েন করাতে আমার টু বি তে ফ্রন্ট লাইন দেখার সুযোগ হয়নি।

ফুয়াদ

×