১৫ই আগস্ট, ১৯৭১। সেদিন সকাল থেকে রেডিওতে ঘোষণা হচ্ছিল শেখ মুজিব ইজ ডেড। কেন শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ক্যু কেনই বা সপরিবারে হত্যা করা হলো? সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভে প্রথমবার মুখ খুললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত এম রাশেদ চৌধুরী বীরপ্রতীক।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে যুক্ত হন সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা। এই আলোচনায় তিনি জানান, কীভাবে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। ১৫ ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেন ঘটালেন জানতে চাইলে রাশেদ চৌধুরী বলেন, যুদ্ধের পর দেশের অবস্থা দেখে তারা হতাশ হন।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ ও লুটপাট এবং বাকশাল গঠনের পর মুজিবের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা আরও গভীর হয়। রাশেদ চৌধুরী জানান, ১৫ ই আগস্টের অপারেশনের নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক। আর রশিদের দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের একত্রিত করা।
শেখ মুজিবের বাসা, সেরনিয়াবাদের বাসার রেডিও স্টেশন ও শেখ মণির বাসাকে টার্গেট করা হয়। মেজর ডালিম রেডিও স্টেশন ও সেরনিয়াবাদের বাসার দায়িত্বে ছিলেন। আর রাশেদ চৌধুরী ছিলেন রেডিও স্টেশনের ডালিমের অধীনে। তিনি বলেন, ভোরের দিকে রেডিও স্টেশন থেকে টেকেন ওভার করে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেন এবং পরে ডালিম এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, উই হ্যাভ ডান ইট।
রাশেদ চৌধুরী বলেন, অপারেশনে যাওয়ার আগেও তারা জানতেন না মুজিবের ভাগ্যে কী হবে। তিনি জেনেছেন, মুজিবকে বাসায় মারার কোনো প্ল্যান ছিল না। পরিকল্পনা ছিল তাকে অ্যারেস্ট করে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে নিয়ে সামারি কোর্ট মার্শাল করা। মুজিবের বাসভবনে কী ঘটেছিল তা সরাসরি দেখেননি। পরবর্তীতে জেনেছেন রাশেদ চৌধুরী তার বইয়ে মেজর বজলুল হুদার স্টেটমেন্টে উল্লেখ রয়েছে, তিনি সৈন্য নিয়ে ভোরে মুজিবের বাসভবনে পৌঁছে সুবেদার কে জানান, আর্মি হ্যাজ টেকনওভার।মুজিব ইজ নো মোর ইন পাওয়ার।
ফুয়াদ