ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ শিল্পখাতে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন গ্যাস ও তরল জ্বালানি। আমাদের বিদুৎ উৎপাদন খাতে যদিও জ্বালানি তেলের ব্যবহার বেড়েছে তাও জ্বালানি তেলের সংকট থাকেই। এই চুক্তি সেই অনিশ্চয়তাকে সরিয়ে বাংলাদেশের বিদুৎ ও জ্বালানি খাতের একটি স্থায়ী সমাধান দিতে পারবে। যখন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গ্যাসের দাম তুঙ্গে তখন বাংলাদেশ কয়লার দিকে যুকতে বাধ্য হয় । কিন্তু এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চত করবে। এই চুক্তি শুধু আমাদের জ্বালানি চাহিদাই পূরন করবে না বরং আমাদের কৌশলগত উন্নয়নের অনন্য সম্ভবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় চুক্তি। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, দেশে জ্বালানির অনুসন্ধান আরও বাড়াবেন।
যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেসব দেশে গ্যাস পাঠানোর ক্ষেত্রে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ লাইসেন্স স্থগিত করে রেখেছিল। তবে গত সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি রহিত করেন ট্রাম্প।
বর্তমানে বিশ্বের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা ২০২৮ সালের মধ্যে সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়। লুজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্ট এলএনজির অবকাঠামো তৈরি সম্পন্ন হলে তারা বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের কার্গো বিক্রি করা শুরু করতে পারবে।
এদিকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন,‘এই চুক্তি কেবল আমাদের গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।’
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চাহিদার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজছে। এক্ষেত্রে তরলীকৃত গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে সরকার। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বব্যাপী যখন গ্যাসের দাম বেড়ে যায় তখন কম দামি কয়লার দিকে আবারও ঝোঁকা শুরু করে ঢাকা।
রাসেল