ছবিঃ সংগৃহীত
২৪ জানুয়ারি সকালে, বান্দরবান জেলার নাইখংছড়ি এলাকার মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি পৃথক স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। ফুলতলি এবং আশারতলি সীমান্ত এলাকায়, পিলার ৪৭, ৪৮, ৪৯ এর কাছাকাছি এই বিস্ফোরণগুলি ঘটেছে, জানান নাইখংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মজহারুল ইসলাম চৌধুরী এবং নাইখংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসরুরুল হক।
আহতদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে—আলী হোসেন (৩৬), আশারতলি, মোঃ হোসেন (৩২), লামুতালি, এবং রাসেদুল ইসলাম রাসেল (২৫), লেমুচড়ি, দুয়াচারি ইউনিয়ন। সকালে ঘটে তিনটি আলাদা বিস্ফোরণ, পরে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহতরা সম্ভবত মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে গরু চোরাচালান করতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং আর্কান আর্মি এই মাইনগুলো পুঁতে রাখে, এবং বিস্ফোরণগুলি ভুলক্রমে ঘটে।
প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে সকাল ৬টায়, যার ফলে আলী হোসেন আহত হন; দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ১০টায়, এবং তৃতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ১০:৩০টায়। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আলী হোসেনের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং ডান পা পুড়ে গেছে, আরিফের মুখে আঘাত লেগেছে, এবং রাসেলের আঘাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সব বিস্ফোরণই মিয়ানমারের ভূখণ্ডে কয়েকশো গজ ভিতরে ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার মধ্যে চোরাচালানি অন্যতম।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আবসার জানান, আশারতলি, ফুলতলি, আমতালি এবং লেমুচড়ি সীমান্ত পয়েন্টে নিয়মিত মানুষ মিয়ানমারে যাতায়াত করেন। এই রুটগুলি ব্যবহার করে অনেক চোরাকারবারি অবৈধ কার্যক্রম চালান।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই মাইনগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে স্থাপন করেছে। তারা বলেন, মাইনগুলোর উদ্দেশ্য শত্রুকে হত্যা করা নয়, বরং তাদের বাধাগ্রস্ত করা। এদিকে, বাংলাদেশের সরকারকে এই সমস্যাটি কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে এবং সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
লিংকঃ https://www.tbsnews.net/bangladesh/3-injured-landmine-explosions-naikhongchhari-border-1051281
মারিয়া