ছবি: সংগৃহীত
গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব,মোঃ তারেক রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সমন্বয়ক ও জিয়াবাদ নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯ জুলাই হাসনাত-সারজিসরা আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এ বলে তিনি ১৯ জুলাইয়ের একটি ভিডিও চালু করেন যেখানে সমন্বয়ক সারজিসকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। সেখানে সারজিস বলছেন, আমরা দেখছি যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংসতা ঘটছে। আমরা কিছু বিষয় স্পষ্ট করি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে। এখানে দল-মত নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু কেউ যদি তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে আমাদের ব্যানার ব্যবহার করে অপচেষ্টা করে তাদের কখনোই আমরা সমর্থন করিনা।
পরে তারেক রহমান বলেন, আমি ভিডিওটি দেখালাম কারণ ১৮ জুলাই যখন আন্দোলন বন্ধ করে দেয় তখন ১৯ জুলাই বাড্ডা, রামপুরা এলাকায় আমি আমার ভাইয়রা মিলে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। ব্র্যাক, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট, সাধারণ মানুষসহ মসজিদে মাইকিং করে মানুষ জড়ো করেছিলাম। ওইসময় এরা দাবি করে, বৈষম্য বিরোধীরা কোনো আন্দোলন করতেছিলো না। আমরা কারা তাহলে আন্দোলন করতেছিলাম। শেখ হাসিনার পতন এরা চায় নাই। এরা সেটা স্পষ্ট করছে বারবার। ১ দফা তারা দিতে চায় নাই। ৯ দফা থেকে ১ দফা বাদ দিয়ে ৮ দফা করেছিল। এখন এরা গণঅভ্যুত্থানের মালিক হয়ে গেছে। জুলাই স্পিরিটের দোকানদার হয়ে গেছে। এই দোকানদারেরা সুন্দর চাঁদাবাজি করছে।
তিনি আরো বলেন, হাসনাত-সারজিস শেখ মুজিবকে বাপ বলছে। এই সময়ের নব্য চাঁদাবাজ কিছু সমন্বয়ক বলছে, এদেশে মুজিববাদ, জিয়াবাদ থাকবে না। মূলত এদের নেতা ছিল শেখ মুজিব। এরা শেখ মুজিবকে বাপ ডাকতো। শেখ মুজিবের নাম যখন মুছে গেলো তাই একই জায়গায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামও মুছে দিতে হবে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে মরে যাওয়া গণতন্ত্রকে বাঁচান। বাংলাদেশে জিয়াবাদ, জাতীয়তাবাদ বাদ দেওয়ার তোমরা কে?
তিনি বলেন, এরা গণতন্ত্র, নির্বাচন শব্দগুলোকে পছন্দ করছে না, ভয় পাচ্ছে। কারণ যেই নাম দাম দিয়ে তারা শুরু করেছিল সেই নাম-দাম তো নাই। চাঁদাবাজ আগে অন্য দলকে বলতো এখন সমন্বয়কদের বলছে কেন।
নাহিদা