ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু শহরের রামমূর্তি নগরের কলকেরে লেক থেকে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ জানায়, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পথচারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। 

নিহত তরুণীর নাম নাজমা। তিনি বিবাহিত এবং গত ছয় বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে তার স্বামী সুমনের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। সুমন বেঙ্গালুরুর সিটি কর্পোরেশনে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং তার কাছে বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে। তবে নাজমার কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে, যারা বর্তমানে বাংলাদেশে আত্মীয়স্বজনদের কাছে থাকে।

নাজমা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তিনি একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সহকর্মীদের জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকবেন এবং দেরি হতে পারে। কিন্তু রাতে বাসায় না ফেরায় তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

শুক্রবার সকালে পথচারীরা কলকেরে লেকের কাছে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায়, নাজমার মাথা ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং শ্বাসরোধের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হত্যার পেছনের কারণ এবং ধর্ষণের মাত্রা নির্ণয়ে ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলে ডগ স্কোয়াড ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তদন্ত চালানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নাজমার স্বামী সুমন এবং তার ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, নাজমার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাদের পরিবার বেঙ্গালুরুতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করলেও নাজমা অবৈধভাবে সেখানে অবস্থান করছিলেন।

পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের ডেপুটি কমিশনার দেবরাজ বলেছেন, “এটি একটি নিষ্ঠুর অপরাধ। আমরা দোষীদের খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।"

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আফরোজা

×