ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গোপনে চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছে এবং যা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়ছে বলে দাবি করছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম।
প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ আছে, শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ওপর গভীর নজর রাখছে এবং জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে এমন পরিস্থিতিতে "প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা" নেওয়া হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএসআই-এর বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এর আগেই একটি বাংলাদেশি সামরিক প্রতিনিধি দল রাওয়ালপিন্ডি সফর করে পাকিস্তানের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "আমরা দেশের চারপাশের কার্যক্রম ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে এমন যেকোনো বিষয়ে সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।"
হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশি সামরিক প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি সফর করে। প্রতিনিধি দলটি ছিল ছয় সদস্যের এবং এর নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান। তারা পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার দিন আগেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন চীন সফরে গিয়ে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে একটি বৈঠক সেরে এসেছেন। সূত্রের খবর, এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন যাত্রার ভিত তৈরি করা। সব ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই ইউনূস যেতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে। পারস্পরিক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও গভীর করার পাশাপাশি কথা হবে আঞ্চলিক এবং ভূকৌশলগত বিষয় নিয়েও। তৌহিদ তাঁর বৈঠকে বাংলাদেশের চীনের প্রতি নির্ভরতা ও আনুগত্যের বার্তা স্পষ্ট করেই দিয়েছেন ওয়াং ই-কে। জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার প্রশ্নে বাংলাদেশে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য রয়েছে।
নাহিদা