.
একদলীয় শাসন ‘বাকশাল’ কায়েম করার পর কারাগারই ছিল বিরোধীদলের ঠিকানা- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে একপ্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস করে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘ওই সময় সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়, দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধীদলের প্রতি আচরণে তারা কখনোই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধীদলের ঠিকানা।’
তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।’