ছবিঃ সংগৃহীত
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে পবিত্র কোরআন শেখার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত করছেন, আর একদল মানুষ আগ্রহ ভরে শিখছেন কোরআনের শিক্ষা। তাদের ইচ্ছা ও অদম্য আগ্রহের ফলস্বরূপ, তারা কোরআন শিক্ষার জন্য একটি মাদ্রাসায় এসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তারা জানান, পবিত্র কোরআনের শিক্ষা তাদের জীবনে আলো এনে দিয়েছে এবং তাদের জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
এক শিক্ষার্থী বলেন, "আগে চলাফেরা করতাম এলোমেলোভাবে। ভাবতাম, কারো সাথে একটু সময় কাটাই, গল্প করি। কিন্তু যখন থেকে কোরআন শেখা শুরু করেছি, তখন উপলব্ধি করলাম মৃত্যুর স্বাদ সবার গ্রহণ করতে হবে। এরপর থেকে নামাজ পড়া শুরু করেছি, টেলিভিশন দেখা কমিয়ে দিয়েছি, মিলাদ মাহফিলে অংশ নিচ্ছি। এমনকি, আমাদের সীমিত উপার্জনের মধ্য থেকে অন্যের বিয়েশাদিতে সাহায্য করি।"
তারা জানান, কোরআনের শিক্ষার মাধ্যমে তারা নিজেরা শুধুমাত্র সঠিক পথে চলার চেষ্টা করছেন না, বরং সমাজের উপকারেও ভূমিকা রাখতে চান। তারা আকুতি জানান, "আমাদের একটি জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষের অপরাধ দিয়ে পুরো সম্প্রদায়কে বিচার করবেন না। আমরা সাধারণ মানুষের মতোই বাঁচতে চাই।"
তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষরা বিশ্বাস করেন, কোরআনের আলোয় তাদের জীবন আলোকিত হবে এবং সমাজের প্রতি তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
তথ্যসূত্রঃ কালের কণ্ঠ
মারিয়া