দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হলো আসিয়ান। বাংলাদেশ এখনও এর সদস্য নয়, তবে দীর্ঘদিন ধরে সদস্যপদ অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সামিটে আসিয়ান নেতাদের সাথে বৈঠকে ড. ইউনুস বাংলাদেশ এবং আসিয়ান দেশগুলোর ভবিষ্যত সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেন।
তিনি বলেন,“আমরা কি পশ্চিমা উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করব নাকি আমাদের নিজস্ব পদ্ধতি তৈরি করব? আমার মতে, আমাদের নিজস্ব পথ নির্ধারণ করা উচিত।”উদাহরণস্বরূপ, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করা এবং এটি সকলের জন্য, বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য সহজলভ্য করা উচিত।
ড. ইউনুস এমন একটি সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, যেখানে সম্পদের সমবন্টন হবে এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে নতুন অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন,আমাদের যুব সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যেখানে ডিগ্রি শুধু চাকরির জন্য নয়, বরং সৃজনশীল ও উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ এখনও আসিয়ানের সদস্য নয়,তাই ড. ইউনুস আজ বাংলাদেশকে আসিয়ানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা করবেন বলে সামিটে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা আসিয়ানের অংশ হতে উদগ্রীব এবং এটি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যা বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হবে।”
তিনি নিজেকে ব্যক্তিগতভাবে আসিয়ানের অংশ বলে মনে করেন। তাঁর কাজের শুরু থেকেই এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে জানান। মালয়েশিয়া ছিলো প্রথম দেশ যারা ড. ইউনুস এর কাজকে গ্রহণ করেছিল। মালয়েশিয়ায় মাইক্রোক্রেডিট প্রকল্পের শুরু হয় এবং এখান থেকে কাজ ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য আসিয়ান দেশেও ড. ইউনুস এর প্রকল্পগুলি সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। বিশেষত, ভিয়েতনামের নারীনেতৃত্ব বাংলাদেশে এসে কাজ সম্পর্কে শিখেছে এবং তা তাদের দেশে বাস্তবায়ন করেছে। এইভাবে ড. ইউনুস আসিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে মানসিক ও কার্যকরীভাবে যুক্ত হয়ে আছেন বলে জানান।
আফরোজা