ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। সেই থেকেই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী দেশছাড়া হয়ে পলাতক জীবনযাপন করছেন। দলটির নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ ভারতে, কেউ সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
গত ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।কার্যত ৫ আগস্ট থেকেই ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা পলাতক রয়েছেন। অনেকে গ্রেপ্তারও হচ্ছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা কলকাতার নিউটাউন, পার্কসার্কাস, যাত্রাগাছী, গুলশান কলোনি, চিনার পার্ক ও ভাঙড় এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ আরও অনেকে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”-এর তত্ত্বাবধানে এসব নেতারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বিভিন্ন বৈঠকের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে নাশকতার ছক কষছেন, যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউটাউন থানার কর্মকর্তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযান চালালেও আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের সহায়তায় এসব এলাকাগুলো তাদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
সূত্র মতে, এসব নেতারা বাংলাদেশে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছেন। তবে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে বলে জানা গেছে।
তাবিব