মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামী বাজেট
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামী বাজেট প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, ডিম ও মাছ-মাংসের মতো নিত্যপণ্যের দাম যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেই উদ্যোগ থাকবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে। যদিও রাজস্ব আয় বাড়াতে চলতি বাজেটের মাঝামাঝি সময়ে অর্ধশতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অর্থবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশকিছু পণ্যের ওপর নতুন করে ভ্যাট আরোপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে আরেক ধাপ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। অন্যদিকে, সামগ্রিক উন্নয়নের গতি বাড়াতে আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি বাজেটের চেয়ে প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। টাকার অঙ্কে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় বাজেট হবে এটি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আগস্ট-জুলাই মাসে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে আসলেও কয়েক মাসের ব্যবধানে এখন আবার নিত্যপণ্যের (সবজি ছাড়া) দাম বাড়তে শুরু করেছে। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। মার্চ মাসের রোজা সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও পণ্য মজুতদাররা।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক পটপরির্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাজার, মাঠে-ঘাটে নতুন চাঁদাবাজ গ্রুপের উৎপাত বেড়েছে। ফলে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি এখন দুই অঙ্কের ঘরে অবস্থান করছে। ফলে বাজেট প্রণয়নে সরকারকে বেশ সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মানুষকে স্বস্তি দিতে দ্রুত দ্রব্যমূল্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও দ্রব্যমূল্য কমাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সচিবালয়ে জানিয়েছেন, আমাদের প্রধান ও প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। এ কারণে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বেশিরভাগ ভোগ্য ও নিত্যপণ্য আমদানিতে ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার জিরো করে দেওয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, মূল্যস্ফীতি কমাতে ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এই প্রথম নিয়ন্ত্রণমূলক বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার।
এ জন্য পাবলিক সেক্টরের ব্যয়ের লাগামও টানা হচ্ছে। সেই সঙ্গে উন্নয়ন ব্যয়ের লাগামও আপাতত টেনে ধরার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এতে বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ কমে আসবে। যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে আইএমএফ ও অর্থ বিভাগ।
এমনিতেই দেশের অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে। এমন শ্লথ গতি আরও অন্তত দুই বছর চলমান থাকবে। এর ফলে চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে। তবে দুই বছর পর এই প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। এ জন্য আপাতত নিয়ন্ত্রণমূলক বাজেট দিয়ে অর্থনীতির অচলাবস্থা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তবে যে কোনো মূল্যে বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে না পারলে মূল্যস্ফীতির লাগাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না বলে মনে করে আইএমএফ। এ জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটের চেয়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার হতে পারে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি বাজেট বরাদ্দ আছে ২ দশমিক ৬৫ লাখ কোটি টাকা। সম্প্রতি সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের নেতৃত্বে সরকারের সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক জঞ্জাল কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
একদিকে আর্থিক সংকট, অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম চালানোর মধ্যেই ভারসাম্যহীনতার দিকে চলে গেছে সামষ্টিক অর্থনীতি। বৈদেশিক ঋণের বোঝা বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। আবার কমে গেছে সরকারের রাজস্ব আদায়। এরই মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার, মূল্যস্ফীতির হার, কর-জিডিপি অনুপাত, ব্যয়-জিডিপি অনুপাত এবং বহিঃবাণিজ্যের সঙ্গে লেনদেনের ভারসাম্যের প্রাক্কলন করা হবে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, বাস্তবতার নিরীখে অর্থনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি। বিশেষ করে মানুষকে স্বস্তি দিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আগামী অর্থবছরের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বেশ কঠিন কাজ। মূল্যস্ফীতি ৯.৫ শতাংশ বা ৯ শতাংশের নিচে ধরা হলে সেটি বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কহীন হয়ে যাবে। তবে মূল্যস্ফীতি পরের বছরে কমে আসতে পারে। সিপিডির (সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খান বলেন, সরকার ইতোমধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা উন্নয়ন ব্যয় কমাবে।
তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ব্যয় হ্রাসের যুগপৎ চাপ অর্থনীতিতে স্থবিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ এখনো তীব্র। সঙ্কোচনমূলক আর্থিক নীতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তেমন কার্যকর হয়নি। ফিসক্যাল পলিসিকে অবশ্যই সম্প্রসারণমূলক হওয়া এড়াতে হবে। তবে এর ফলে এডিপি বাস্তবায়ন আরও ধীরগতির হতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। সে জন্য পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো, উৎপাদন ও আমদানি সহজ করা এবং কৃষি ও শিল্প খাতে প্রণোদনার উদ্যোগ থাকবে বাজেটে। জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাজেট ছাঁটাই করার মতো খাতগুলো চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের পরিকল্পনায় বড় অঙ্কের কাটছাঁট করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রাক্কলিত ব্যয় ১ লাখ কোটি টাকার মতো কমতে পারে। তবে পরিচালন বাজেট ছাঁটাইয়ের সুযোগ কম। তাই বেশিরভাগ কাটছাঁট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যা করা হচ্ছে ॥ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার, টাকার প্রবাহ হ্রাস, শুল্ক কমানো, সুদের হার বৃদ্ধি এবং বাজার তদারকি জোরদারের মতো চার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এগুলো বাস্তবায়নে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অসহযোগিতা। সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। বিভিন্ন স্তরে চাঁদাবাজি হচ্ছে।
এসব কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এসব সমস্যা বিগত সরকারের তৈরি। কিন্তু সেগুলো এখন মোকাবিলা করতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। বিশ্লেষকদের মতে, সরকারকে এখন সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায়। এ জন্য শিল্পের কাঁচামাল আমদানির পথ অবারিত রাখতে হবে। উৎপাদন খাতে টাকার জোগান বাড়াতে হবে। সরবরাহ ব্যবস্থায় সব ধরনের বাধা অপসারণ করতে হবে।
যেসব ব্যবসায়ী সন্দেহভাজন বা পলাতক তাদের বিশেষ তদারকির আওতায় আনতে হবে। যাতে বাজারে পণ্যে মূল্য বাড়াতে তারা কারসাজি করতে না পারে। পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে হবে। তারা আরও বলেছেন, সরকার পণ্যমূল্য কমাতে আমদানি শুল্ক কমাচ্ছে।
শুধু আমদানি পণ্যের শুল্ক কমিয়ে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়। অতীতে এ ধরনের পদক্ষেপ বাজারে কোনো সুফল বয়ে আনেনি। পণ্য আমদানির ট্যারিফ হ্রাস, ঋণের সুদ বাড়ানোসহ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়ার পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুফল মিলছে না।
অর্থনৈতিক বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ধরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বর্তমানে ১১ শতাংশের ঘরে বিরাজ করছে মূল্যস্ফীতির হার। নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধন, কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দেওয়া এবং বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
কিন্তু এর পরও বাগে আনতে না পেরে সরকারের ঘোষিত মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ থেকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ বিভাগ। বর্তমান খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসেবে, নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০, আর শহরের ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। এটি গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার।
এদিকে, জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল। নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে উঠেছে। অর্থাৎ গত বছরের নভেম্বরে ১০০ টাকায় যে পণ্য ও সেবা কেনা গেছে, চলতি বছরের নভেম্বরে একই পরিমাণ পণ্য ও সেবা কিনতে ভোক্তাকে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনভেস্টরস কনফারেন্সে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও ১০ থেকে ১২ মাস লাগবে। জুনের মধ্যে ৭ শতাংশ আর আগামী অর্থবছরে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে দ্রুত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। কোনো জিনিসের মূল্য একবার বাড়লে সেটি কমানো কঠিন। তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে আমাদের রেমিটেন্স বেড়েছে এবং বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য এসেছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির জায়গায় এখনো তেমন পরিবর্তন আসেনি।