ছবি: সংগৃহীত
লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান ডিউক মনে করেন, বাহিনীর সদস্যদের পোশাক পরিবর্তন করে তেমন কোনো লাভ হবে না। বরং পরিবর্তন দরকার রাজনীতিবিদদের মানসিকতায়।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বাহিনীকে কুখ্যাত করে তুলেছে রাজনীতিবিদরাই। সঠিক আদর্শ এবং নৈতিকতার চর্চা তাঁদের মধ্যেই প্রয়োজন। বাহিনীর পোশাক বদলালেও প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব নয়, যদি নেতৃত্বে নৈতিকতার অভাব থাকে।”
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর নতুন ইউনিফর্ম চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বলছে, এই পরিবর্তন বাহিনীকে নতুন রূপে উপস্থাপন করার একটি প্রতীকী উদ্যোগ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জানান, বাহিনীর সদস্যদের মন-মানসিকতা উন্নয়নের লক্ষ্যে পোশাক পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণেও নতুনত্ব আনার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের পোশাক হবে আয়রন বা লোহার রঙের, র্যাবের জলপাই রঙের এবং আনসারের সোনালি গমের রঙের।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান ডিউক বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ১০ম বিএমএ লং কোর্সের একজন সদস্য। তিনি সাহসিকতার জন্য বীরপ্রতীক, বিপিএম এবং বাংলাদেশ রাইফেল—এই তিনটি রাষ্ট্রীয় খেতাব পেয়েছেন। তবে তাঁর জীবনে রয়েছে নানা উত্থান-পতনের ঘটনা।
২০১৮ সালের ৮ আগস্ট রাতে অজ্ঞাতনামা লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সময় তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসেন। এর আগে ২০১০ সালের ৯ জুলাই ময়মনসিংহ সেনানিবাস থেকে প্রথমবারের মতো অস্ত্রের মুখে অপহৃত হন তিনি।
দীর্ঘ ২৮ বছর সেনাবাহিনীতে সুনামের সঙ্গে কাজ করার পর ২০১২ সালে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম র্যাব-৭ -এর অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এম.কে.