ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন

কেন পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস?

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ২২ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৬:৫২, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

কেন পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস?

ছবি: সংগৃহীত।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি সরে দাঁড়ানোর কারণও উল্লেখ করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে পদ ছাড়ার বিষয়টি জানান তিনি।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পদ ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সংস্থার গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ আর থাকবে না।

সারজিস আলমের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

“জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই। এই ফাউন্ডেশনের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য এর গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এখন থেকে ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি’ পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে CEO হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

‘গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের নীতিনির্ধারণে কাজ করবে। এখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা রয়েছেন (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, ICT)।

‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ এখন নেই।

এই ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা শুরু করে ১ অক্টোবর, এবং অফিস চালু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি ২১ অক্টোবর। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০ দিন দায়িত্ব পালন করি। এরপর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াই। আমার সাইনিং অথোরিটি ৭ জানুয়ারি হস্তান্তর করি এবং অফিসিয়ালি আমার দায়িত্ব শেষ হয়।

৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করা ৮২৬ শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাচাই-বাছাই করা প্রায় ১১ হাজার আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।

যতদিন আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি, ততদিন দায়িত্ব পালন করেছি। যখন মনে হয়েছে, ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে না, তখন দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ বা ত্যাগ করা আমার কাছে কোনো দুর্বলতা নয়। বরং এতে সৎ সাহসের প্রয়োজন। আমি চেষ্টা করেছি আমার চেয়ারের দায়িত্বের প্রতি সৎ থাকতে।”

সায়মা ইসলাম

×