ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

ছাত্ররা চাইলে ভোট ডিসেম্বরে

আবদুর রহিম

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১০:৫১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

ছাত্ররা চাইলে ভোট ডিসেম্বরে

ছবিঃ সংগৃহীত

 

  • ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের রোডম্যাপ তৈরি

  • শেষ সময়ে ফ্যাক্ট চব্বিশের শহীদ পরিবার ও আহতরা

  • চাপে পড়ে নির্বাচন হলে আবারও বিপ্লবের আশঙ্কা

  • রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে জটিলতার শঙ্কা

  • বিলম্ব ভোটে অর্থনৈতিক শঙ্কট, চুক্তি নবায়নে আশঙ্কা

    কয়েকটি রাজনৈতিক দল থেকে দ্রæত নির্বাচনের চাপ অব্যহত রয়েছে। আবার ছাত্রজনতা ও রাজনীতির বড় অংশ বলছে যৌক্তিক সংস্কার এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের অপরাধ এবং চব্বিশের গণহত্যার বিচারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এমন পরস্থিতিতে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় রাজনীতি, ক‚টনীতি এবং সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পঁচিশের শেষ সপ্তাহে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের চূডান্ত রোডম্যাপ রয়েছে সরকারের। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দেশের প্রেশক্রিপশনও রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছালে ডিসেম্বরেই ভোট হবে। সরকার রাজনৈতিক ঐক্যমতের জন্য তাকিয়ে থাকবেন। তবে রাজনীতি, কুটনীতির সঙ্গে এবার নির্বাচন বাস্তবায়নে বড় ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াবে চব্বিশের শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যাক্তিরা। তারা যদি আপত্তি জানায়, এবং তাদের সঙ্গে ছাত্রজনতার যে অংশ আন্দোলনে লিড দিয়েছেন তারাও যদি সম্মত হয়ে পড়েন তাহলে সরকার ইচ্ছে করলেও পঁচিশের শেষে ভোটের আয়োজন করতে পারবেন না। বিশ্বস্ত সূত্রগুলো বলছেন, সরকার শীঘ্রই শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যাক্তিদের কাছে ম্যান্ডেট জানতে ভোটের বিষয়ে তাদের মতামত গ্রহণ করবেন।   

    নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য অন্তর্র্বতী সরকার দুই ধাপে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। এর মধ্যে চার কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বাকিগুলো চলতি মাসে জমা দেবেন। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব শেষ হলেই নির্বাচনের রোডম্যাপে চলে যেতে পারে সরকার। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অনেক চুক্তির মেয়াদ চলতি বছর শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে দুয়েকটি চুক্তি নবায়নে নির্বাচিত সরকারের অপরিহার্যতা সবচেয়ে বেশি। সকল কিছু মাথায় রেখে ড. ইউনূস সরকার ভোটের সকল আয়োজন সম্পূর্ণ করে রাখবেন। রাজনৈতিক দল গুলোর সঙ্গে বিপ্লবী ছাত্রজনতার চাওয়াকে তিনি গুরুত্ব দেবেন।  কারণ ছাত্রদের চাওয়ার মধ্যেই একটি রক্তবিজয়ে এই সরকার এসেছে।

    বিশ্বস্ত সূত্রটি বলছেন,বাংলাদেশের আন্দোলনের অতীতের ধারাবাহিকতা অনেকটা বিলুপ্তি ঘটেছে। সাধারণ মানুষ অধিকার বাস্তবায়নের জন্য গুলির সামনে দাঁড়াতে এখন মৃত্যুভয় ভুলে গেছেন। চব্বিশে প্রতিটি ঘর থেকে আন্দোলন হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে চলমান অস্থিরতায় দেখা গেছে,  মানুষ খালি হাতে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে গেছেন। এই মানুষগুলো আসলে কোন উদ্দেশ্য দাঁড়াচ্ছে, সেগুলোও দেখতে হবে। চব্বিশের আন্দোলন কোনো ভোটের জন্য হয়নি। এটি এমন একটি আন্দোলন হয়েছে যা স্বৈরচার থেকে মুক্তির আন্দোলন, অধিকার নিশ্চিতের আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক কিংবা দু একটি দেশের চাপে যদি সরকার ভোট দিয়ে দেন তাহলে দু এক বছরের মধ্যে দেশে আবারও বড় ধরনের বিপ্লবের আশঙ্কা থেকে যাবে। গোয়েন্দা সংস্থাদের কিছু রিপোর্টও সংশ্লিষ্টদের হাতে রয়েছে। তাই বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি নিরপাদ বাংলাদেশ হিসেবে রেখে যেতে যা করা দরকার তাই করবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সকল জটিলতাগুলো যদি সমাধান আসে, রাজনীতি, ছাত্রজনতা সবার মধ্যে ঐক্যমত হওয়া যায় তবে সু নির্দিষ্ট রোডম্যাপে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট হবে।

    স¤প্রতি দেখা গেছে, ফ্যাসিষ্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দ্বিমুখী বক্তব্য দিতে । ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র ত্রিবেদী বলেছেন,‘দুই দেশের পারস্পরিক সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন সে দেশে (বাংলাদেশ) নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।’অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করবে না। একই সঙ্গে ভোটের সিদ্ধান্ত দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তে বলেছেন,  ক‚টনৈতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

    ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে পালিয়ে যাওয়া হাসিনা ভারতে বসে বিদেশি বেশকিছু প্রেশক্রিপশন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে ভাষ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রটির। একই সঙ্গে দ্রæত নির্বাচনের জন্য রাজনীতির একটা অংশও চাওয়া রয়েছে। তাই অর্থনৈতিক শঙ্কট, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি নবায়নে জটিলতা তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যদি ছাত্রজনতার সরকার সাপোর্ট দেন অনেক কিছুই মোকাবিলা করা সরকারের সম্ভব হবে।

    বিশ্বস্ত সূত্রটি বলছেন- বিপ্লব পরবর্তী ছাত্ররা বেশকিছু ভুল করে ফেলেছেন। যা করা দরকার সেটি তারা করতে পারেননি। সরকারের মধ্যে কয়েকটি ধাপে ভিনদেশি প্রেসক্রিপশন ঢুকে পড়েছে। আর সেটি হয়েছে কয়েকটি ধাপে। তাই ছাত্রদের হস্তক্ষেপ থেকে পুরো রাষ্ট্রকাঠামোকে আলাদা করতে এখানে অনেকগুলো লেয়ার কাজ করছে। তবে পরিপূর্ণ সফল সেটি এখনও বলা যাবে না। প্রায় দুই হাজার ছাত্রজনতা শহীদ এবং ২৫ হাজার পঙ্গু বরণ করা ব্যাক্তিরা বিপ্লবের বড় ম্যান্ডেট। আগামী অন্তত ২/৩ যুগ শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যাক্তিদের চাওয়া চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়েই কাজ করতে হবে। যারা সেটির বিরুদ্ধে যাবেন তারা অল্প সময়ে ভেঙ্গে পড়বেন। সে ক্ষেত্রে এখনও ছাত্রদের শক্তি বড় আকারে রয়েছে। এই ছাত্রদের সঙ্গে এখন কয়েকটি রাজনৈতিক দল, গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি শক্তির সমর্থন রয়েছে। তারা রাজনৈতিক দল গঠনেরও প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেটি হয়ে গেলে বিএনপি জামায়াত এবং ছাত্রদের অংশের পরিপূর্ণ ঐক্য ছাড়া নির্বাচনের ডেডলাইন ঠিক করতে পারবে না সরকার। তবে ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠন হয়ে গেলে বড় দলগুলো যদি সমঝোতায় বসেন এবং শহীদ ও আহত ব্যাক্তিদের কাছে তাদের প্রতিশ্রতি শক্তভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে ডিসেম্বরেই হতে পারে ত্রয়োদশ ভোটের চূড়ান্ত যাত্রা। 

    তবে ছাত্রদের বড় অংশ এখনও অনঢ় অবস্থানে রয়েছেন, খুনি শেখ হাসিনাসহ যারা চব্বিশের মদদদাতা তাদের ফাঁসি হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে যেতে চান না। আগে  চব্বিশের খুনিদের বিচার হবে, দেশের মৌলিক বিষয়গুলো সংস্কার হবে তারপর নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে শহীদ পরিবারের বড় অংশই সরকার এবং জুলাইয়ের ছাত্রনেতাদের জানিয়েছেন,  তাদের পরিবারের সদস্যরা শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেয়নি। খুনিদের বিচার সম্পূর্ণ হওয়ার আগে কেউ নির্বাচনের পক্ষে মত দেয়নি।

    সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম হুমায়ুন কবির জনকন্ঠকে বলেন,আসলে চলমান যে পরিস্থিতি চলছে , এই পরিস্থিতির মধ্যে কবে নির্বাচন হবে তা এখনই বলা মুশকিল। নির্বাচন এ বছরের মধ্যে হবে কিনা নাকি আগামী বছর হবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।  তবে এইটুকু বলতে পারি আগামী যে নির্বাচন হবে সেখানে সবার সম্মতি প্রয়োজন।  রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি প্রয়োজন , যারা ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাদের সম্মতি প্রয়োজন। দেশের জনগণের সম্মতি প্রয়োজন। একই সঙ্গে এই সরকারের মৌলিক কাজ সংস্কার করা, সেগুলো গ্রহণযোগ্য বা বাস্তবায়ন করা। তার ভিত্তিতে সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে তখনই নির্বাচন হতে পারে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী জনকণ্ঠকে বলেন, রাজনীতি বা  নির্বাচন নিয়ে কি হচ্ছে এ বিষয়ে আমাদের এখনো অজানা এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যক্ষ সাবরিন আহমেদ চৌধুরী জনকন্ঠকে বলেন,  নির্বাচন সংস্কার এসব বিষয় এখন কথা বলা ও মুশকিল। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ সেটাও বলতে চাচ্ছি না।

    বৈষম্য বিরোধীদের ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমরা শুধু চারদিকে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নির্বাচন বিষয়ে কথা শুনছি নির্বাচন হবে কি হবে না সেটা অবশ্যই সিদ্ধান্ত দেবে দুই হাজার শহীদ পরিবার এবং পঙ্গুত্ববরণ করা ২৫ হাজার মানুষ। অন্তর্র্বতী সরকার কবে কখন নির্বাচন দিবে সেখানে অবশ্যই শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের ম্যান্ডেট লাগবে। প্রায় দুই হাজার শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিরা যখন নির্বাচন চাইবে তখনই নির্বাচন হতে পারে। আশা করছি অন্তরবর্তী সরকার অবশ্যই শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণ করবেন তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে তারপরে নির্বাচন দেবেন।

    এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রোববার একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, কয়েক মাস ধরে বলছি সামনের নির্বাচন এত সহজ নয়। আপনারা যত সহজ ভাবছেন। ভাবতে পারেন বিএনপির তো গ্রাম পর্যন্ত শাখা প্রশাখা রয়েছে এত বড়াইয়ের কিছু নেই। আমাদের কাছে স্পষ্ট উদাহরণ রয়েছে, জনগণ যখন ক্ষিপ্ত হয়, তখন কিভাবে স্বৈরাচারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কেন চাইছি আমরা। একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া ম্যান্ডেট পাওয়া যায় না। সংস্কার করতে হলেও পার্লামেন্ট লাগবে। নির্বাচন যত দ্রæত হবে দেশের সংকট তত দ্রæত কাটবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার ড মোশাররফ হোসেন  আহŸান জানিয়ে বলেছেন,  'সরকার যেন স্থায়ী সমাধানের জন্য অতিদ্রæত একটি নির্বাচন দেন' আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। ভোটের পর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশ সংস্কার করবে।

    জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গতকাল সোমবার একটি বৈঠকের পর জানিয়েছে, জরুরি কিছু সংস্কার প্রয়োজন সেটা না হলে অতীতের মতো অস্বচ্ছ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নির্বাচন কমিশনের কিছু সংস্কার, সংবিধানে সংস্কার করা দরকার এগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা দরকার সরকারের। এরপর নির্বাচনে যাওয়া দরকার। নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে এ জন্য তারা ৫ আগস্ট নির্বাচন চেয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার চাই, তারপর নির্বাচন। তবে আমাদের একটা মৌলিক দাবি রয়েছে সেটা হচ্ছে আগামী নির্বাচন অবশ্যই তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে রয়েছে। 

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহŸায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, পনেরো বছরে যে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোকে মোকাবেলা করা আবশ্যক। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে উত্তরণ সম্ভব সেটা আমরাও মনে করি, তবে সেটি আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিলে গ্রহণযোগ্য হবে সেটা মনে করি না । যারা ২৪ এ আন্দোলনে রাস্তায় নেমে এসেছিল সকল ছাত্ররা বলছে যৌক্তিক সময়ের পরে নির্বাচন। যৌক্তিক সংস্কার গুলো ন্যূনতম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।  ন্যূনতম স্বৈরাচার হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা, নির্বাচন কেন্দ্রিক যে সংস্কার গুলো রয়েছে - মাঠ প্রশাসন,  স্থানীয় প্রশাসন,  পুলিশ,  জুডিসিয়াল,  তারপর নির্বাচনের দিকে যাওয়া যেতে পারে। আওয়ামীলীগ যে ক্রাইমগুলো করেছে সে ক্রাইমগুলো বিচার হওয়ার পর  গণহত্যার বিচার হওয়ার পর তারপর আলোচনা হতে পারে নির্বাচন কবে হবে। আমাদের হাতের মধ্যে আমাদের যে ভাইদের মৃত্যু হয়েছে সেই হত্যাকারের বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে কোন স্পেস দিতে আমরা রাজি না।

মারিয়া

×