ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা

সংবাদ সম্মেলন

বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে মারামারির ঘটনায় আহতদের পক্ষের শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘেষাণা দিয়েছে। তারা সেখান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। ব্রিফিং পরবর্তী তাদের এই বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। এই ব্রিফিংয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী তানজিম মো. সোহরাব রেজা বলেন, মেরে-ধরে চুপ করিয়ে দেয়া যে রাজনৈতিক চর্চা, সেটি ফ্যাসিবাদ গড়ে তুলতে সহায়ক। এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোটাই জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট। জুলাইয়ে যখন আমরা দলীয়, ধর্মীয় পরিচয় ফেলে রাজপথে নেমেছিলাম, তখন আমাদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। 

আমরা মনে করেছিলাম, জুলাইয়ের পর অন্তত ছাত্র সংগঠনগুলো পারস্পরিক সহাবস্থান বজায় রেখে দেশের অগ্রগতিতে চেষ্টা করে যাবে। একইসাথে চেষ্টা করবে, ছাত্রলীগের মতো কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে যেন জিম্মি হয়ে না পড়ে। অথচ জুলাইয়ে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম দেখে মনে হয়, তারা ছাত্রলীগ হতে চায় এবং সে পথেই এগোচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে ফেরার পথে গণপরিবহনের গতি রোধ করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ঘটনার পরে আমরা জানতে পারি, এ হামলার পেছনে ছিল আশিকুর রহমান হৃদয় নামের একজন। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম করার অভিযোগ এসেছে। কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রিফাত রশিদ, আসাদ বিন রনি ও জাহিদদের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে। চিহ্নিত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থার আশায় আজ দুপুরে আমরা অফিসে এসেছিলাম।

প্রসঙ্গত, আজ বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনটির অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই ঘটনার পরবর্তী আহতদের পক্ষের শিক্ষার্থীরাই ব্রিফিং করেন। গতকাল যাত্রাবাড়ীতে হামলার ঘটনায় প্রতিকার চাইতে আজ প্ল্যাটফর্মটির কার্যালয়ে আসেন।

তানজিম মো. সোহরাব রেজা ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, হামলায় জড়িতদের বহিষ্কৃত না করলে আমরা ধরে নিবো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও ক্ষমতার কাছাকাছি গিয়ে ছাত্রলীগের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। দিনে দিনে তারই রূপ ধারণ করছে। আজ যখন হামলা হয়, তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদেরকে জুলাইয়ের যোদ্ধা ইমরান বলে, ভাই আমার মাথায় বুলেট আছে, মাথায় আঘাত করবেন না। এরপর তার মাথা দেয়ালের সাথে ধাক্কা দেয়া হয়। এই হলো তাদের মুখে মুখে জুলাইয়ের স্পিরিট। আর এই হলো শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের আচরণ। রাজনীতির এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আরও ছোট ছোট শেখ হাসিনা গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ছিল। এটিকে টিকিয়ে রেখে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার কারও নেই। এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে ছাত্র-জনতা তাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন।

শহীদ

×