ছবি: সংগৃহীত
বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, বাংলাদেশে সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনগণের ইচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যারা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, তারা কেন এর ঘোষণাপত্র দিতে পারবে না, সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ।
তিনি মনে করেন, কাজের বিবরণ বা রিপোর্ট প্রকাশ করাও এক ধরনের দায়িত্ব।
ড. সলিমুল্লাহ খান উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় ঘোষণাপত্র বা ইশতেহার থেকে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। “উই দা পিপল” নামে প্রণীত সংবিধানগুলোতে জনগণের অধিকার ও ক্ষমতার বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।
তবে বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানকে তিনি একটি আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকার সংবিধান তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও এর কার্যকারিতা দীর্ঘমেয়াদি। আমেরিকান সংবিধানের সাতটি ধারা নিয়ে কাজের পরেও জনগণের অধিকার সংরক্ষণে ‘বিল অফ রাইটস’ সংযোজন করা হয়। এটি ব্যক্তিস্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের ঘোষণার কথা তুলে ধরেন। এর ভিত্তিতে ১৯৬৬ সালে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রণীত হয়। তবে তিনি সমালোচনা করেন যে বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলো আইনি বলবৎযোগ্য নয়।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, সংবিধানের কাঠামো কেবল আইনি নয়, বরং জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা উচিত। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া একটি সংবিধান কখনোই প্রকৃত অর্থে কার্যকর হতে পারে না।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/jqEeIO687VM?si=kRIypVq3nNWV-YVj
এম.কে.