ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

সপ্তম শ্রেণির গণিত বইয়ের দাম ৫০০ টাকার ওপরে ॥ পিডিএফে সাড়া নেই শিক্ষার্থীদের

পাঠ্যবইয়ের ফটোকপি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

আসিফ হাসান কাজল

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

পাঠ্যবইয়ের ফটোকপি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

.

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে এক শিক্ষা কর্মকর্তা বুধবার এনসিটিবিতে এক সেট বইয়ের জন্য অনুরোধ করছিলেন। নিজের পরিচয় দিয়ে বলছিলেন, আমার ভাতিজা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। একটি বইও পায়নি। এখন তাকে পড়ার টেবিলেও বসানো যাচ্ছে না। দয়া করে এক সেট বইয়ের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এই কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলছিলেন, বছরের শুরুতে বই পাওয়া না গেলে শিক্ষার্থীরা কী করবে? কবে বই পাবে?
২০২৫ সালের জানুয়ারির অর্ধেক সময় পার হলেও সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের ২৫ শতাংশও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেনি। ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সর্বসাকল্যে ১০ কোটি বই হাতে পেয়েছে। সংকট থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই অন্য পন্থা খুঁজছে। অবস্থা এমন যে, পাঠ্যবই দূরে থাক, বাজারে সহায়ক বই, নোট-গাইডও পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অনলাইনে পিডিএফ বই প্রকাশ করলেও তাতে সাড়া নেই শিক্ষার্থীদের। বিপাকে পড়ে অভিভাবকরা চড়া দামে রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে ফটোকপি করা পাঠ্যবই কিনে সন্তানকে দিচ্ছেন। কবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই উঠবে সেটি নিয়ে সন্দিহান থাকায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন দোকানিদের সঙ্গে।
অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই নেই। বাসায় তারা পড়ার টেবিলে বসছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক যখন পড়াচ্ছেন, তখন শিক্ষার্থীদেরও মুখে হাত। কারণ বোঝার সুবিধার্থে শিক্ষক যখন পড়ান, তখন শিক্ষার্থীরা বই খুলে বোঝার চেষ্টা করে। কিন্তু চলতি বছর পাঠ্যবই সংকটে এবার তার কিছুই হচ্ছে না। এতে ক্রমেই তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করেন, বিনামূল্যে সরকার পাঠ্যবই দেবে জেনেও বইয়ের জন্য বাড়তি অনেক টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুর থানায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৩টি। এখানে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এই উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কাদের ফকির জনকণ্ঠকে জানান, ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নবম শ্রেণির একটি পাঠ্যবইও পাওয়া যায়নি। দশম শ্রেণির বিভাগভিত্তিক কিছু বই এসেছে। এ ছাড়াও ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির তিনটি করে বই পাওয়া গেছে। বইয়ের যখন এমন অবস্থা ক্লাস চলছে কীভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেসব পাঠ্যবই পাওয়া যায়নি, সেগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে পড়ানো হচ্ছে। বাকিটা সময় শিক্ষার্থীরা কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস করছে। খোদ রাজধানীর একটি থানার অবস্থা যখন এমন, তখন বইয়ের হাহাকার দেখতে নীলক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, ফটোকপি করে ৩০০-৫০০ টাকায় প্রতি কপি বই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে পঞ্চম, নবম ও দশম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা বেশি। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে সহায়ক বই কিনতে এসে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ফিরে যান। কারণ হিসেবে অভিভাবকরা বলেন, আগামী বছর যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের দুই বছর দুই নিয়মে পড়তে হচ্ছে। প্রথম বছর কোনো বিভাগ বিভাজন না থাকায় নতুন কারিকুলামে পড়েছে তারা। এর পরের বছর কারিকুলাম সংশোধন করে আবারও তাদের বিভাগ বিভাজনের মধ্যে আনা হয়েছে। এদিকে দুই বছরের পড়া শেষ করতে হচ্ছে এক বছরে। এর মধ্যে এই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো বই না পাওয়ায় বর্তমানে দশম শ্রেণির অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তাও বেশি। বাধ্য হয়ে তারা সহায়ক বইয়ের আশ্রয় নিতে চেয়েও বাজার থেকে খালি হাতে ফিরছেন।
নীলক্ষেতে উদয়ন স্কুলের ক্লাস নাইনে পড়ে এক শিক্ষার্থী তার বাবার সঙ্গে ঘোরাফেরা করছিল বইয়ের দোকানে। জানুয়ারি মাস শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত একটি পাঠ্যবইও তার কাছে নেই। এক প্রকার বাধ্য হয়েই পরিবার নিয়ে পুরনো বই কিনতে এসেছেন। এই ছাত্রীর বাবা জানান, এখন ক্লাসে শিক্ষকরা বই পড়াচ্ছেন পিডিএফ কপি করে। বাচ্চারাও বাধ্য হয়ে সেই শিট কপি করে পড়ছে।
শনিবার বিকেলে নীলক্ষেতে নবম শ্রেণির রসায়ন টেস্ট পেপার কিনতে বাবার সঙ্গে এসেছেন রাইমা। কিন্তু গত বছরের টেস্ট পেপারস দোকানে রয়েছে। কিন্তু এবার সেটি কাজে লাগবে না। কারণ এরই মধ্যে কারিকুলাম পরিবর্তন হয়েছে। এদিকে এনসিটিবির নির্দেশনায় নতুন শিক্ষাক্রমের টেস্ট পেপারসও ছাপা বন্ধ রয়েছে। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা নিয়ে এই ধরনের গবেষণা বন্ধ করতে হবে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বারবার ভোগান্তিতে পড়ছে, দিশাহারা হচ্ছে। সঠিক সময়ে বই না মেলায় নানাভাবে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সরকার পাঠ্যবইয়ের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর পরও যদি আমাদের একটি বই কিনতে ৩০০-৫০০ টাকা ব্যয় করতে হয়, তবে বিনামূল্যের বই দিয়ে লাভ কী!
সিয়াম বুক শপের দোকানি মো. পলাশ জনকণ্ঠকে জানান, বারবার সিলেবাস পরিবর্তন হওয়ায় অভিভাবকরা হয়রানির শিকার। ব্যবসায়ীরাও মার খাচ্ছেন। ছাপা বই কিনতে অভিভাবকরা আসছেন। নতুন বই ও পুরনো বইয়ের অধ্যায়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছেন। যেমন পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে গদ্য আছে ২৪টি। এর মধ্যে প্রথম গল্প ‘এই দেশ এই মানুষ’। শেষের গল্পটি অপেক্ষা। তবে নতুন কারিকুলামের বইয়ে ৪-৫টি গল্প নেই। এই নিয়ে অভিভাবকরা চিন্তা করছেন বইটি কিনবেন কী না। আমিনুর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, কিছু গল্প মিল থাকলেও বাচ্চারা অন্তত পড়তে পারবে। যে কারণে চড়া মূল্য দিয়ে বইটি কিনতে আসা। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ, সিলেবাসে যখন না মেলে, তখন আর কেউ বই নিতে চায় না। কারিকুলাম পরিবর্তন হওয়ায় ২০২৪ সালের বই আর চলছে না। আমরা ২০২০ ও ’২১ সালের পুরনো বই বিক্রি করছি।
নীলক্ষেত বই ঘরে পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করে রমরমা চলছে বই বিক্রি। সপ্তম শ্রেণির গণিত বইয়ের দাম চাইছে ৫২০ টাকা। এটি সর্বশেষ কারিকুলাম অনুযায়ী ফটোকপিতে ছাপা। ২০২১ সালের একই বইয়ের দাম চাইছে ৩৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সরকার বই দেয় না কী করব। পোলাপান পড়ব না। এজন্য এই ব্যবস্থা। আমরা কিছু পুরনো বই বিক্রি করছি। যেগুলোর সঙ্গে বর্তমান কারিকুলামের মিল নেই। এর পরও ক্রেতারা কিনছেন।
নীলক্ষেতের নিউ বুকস গ্যালারির শান্ত জানান, দোকানটিতে বিবিএ, ইঞ্জিনিয়ারিং, অনার্স, মাস্টার্সের বই বিক্রি করে। অভিভাবকরা নিয়মিত এখানে আসছেন, বই চাইছেন। বই না পেয়ে অন্তত সহায়ক বই চাইছেন। কিন্তু কিছুই পাচ্ছেন না।
এই সংকটের মধ্যে পাঠদানের অভিজ্ঞতা জানতে যোগাযোগ করা হয় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক আল নাহিয়ানের সঙ্গে। জনকণ্ঠকে তিনি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এই শিক্ষক বলেন, ক্লাসে পিডিএফ থেকে ডাউনলোড করে শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়। তারা ক্লাসে কিছু লেখে। আবার বাড়িতে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে পড়তে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও অধিকাংশ শিক্ষার্থী পুরনো বই কিনেছে। এই শিক্ষকের মতে, ঢাকার স্কুলে পাঠদানের যে সুযোগ সেটি গ্রামাঞ্চলে সঙ্কুচিত। কারণ সেখানে ইন্টারনেটের ব্যবহার কম। আবার সব শিক্ষার্থীর পুরনো বই কেনার সক্ষমতাও নেই। কারিকুলাম পরিবর্তন হওয়ায় আগের বছরের বইও কাজে আসছে না।
এনসিটিবি কাজের চেয়ে কথা বলছে বেশি ॥ এনসিটিবির চেয়ারম্যান গত ডিসেম্বরেই জানিয়েছিলেন, সব পাঠ্যবই জানুয়ারি মাসেই পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে আগামী মার্চ মাসেও শিক্ষার্থীরা বই পাবে কী না তা নিয়ে সন্দিহান স্বয়ং প্রেস মালিকরাই। এর মধ্যে কাগজের দর বৃদ্ধি, আট কার্ড সংকটসহ বিল দিতে না পারার ব্যর্থতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। মুদ্রাকররা জানান, যেসব প্রেস তাদের কাজ শেষ করেছে এখনো তাদের বিল দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় এই ইস্যুতে এনসিটিবি মুদ্রাকরদের দেশপ্রেমের কথা বলছে। অ্যাকাউন্টে টাকা নেই এমন যুক্তি দেখাচ্ছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। ৪৫-৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সব পর্যায়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আর্ট কার্ড সংকটের কারণে প্রথম পর্যায়ে এটি চীন থেকে বিমানে উড়িয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এনসিটিবি। পরে সিদ্ধান্ত বদলে জাহাজে আর্ট কার্ড আনা হচ্ছে। এতে করে অন্তত ৩০-৪০ দিন সময় লাগতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এনসিটিবির ব্যর্থতা ঢাকতে নোট-গাইডের ওপর দায় চাপিয়েছে। নোট-গাইড ব্যবসায়ীরা এনসিটিবি থেকে সিডি ম্যাটার নিয়ে বই ছাপা শেষ করে ফেলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাজারে কোনো সহায়ক বই পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রেস মালিক জানান, বর্তমানে দেশীয় সব প্রেসের প্রতিদিন ৩০-৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোর সক্ষমতা রয়েছে। যে পরিমাণ বই ছাপানো বাকি আছে, প্রতিদিন সক্ষমতা অনুযায়ী ছাপানো হলেও কাজ শেষ করতে অন্তত এপ্রিল মাস গড়াবে। কাগজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সব কাগজকল মালিক কারণ ছাড়াই টনপ্রতি দাম ২০-৩০ হাজার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা চার কোটি ৩৪ লাখ তিন হাজার ২৮৩ জন। তাদের জন্য ছাপা হচ্ছে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই। প্রাথমিকের দুই কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই। মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। তা ছাড় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে আট হাজারের বেশি ব্রেইল বই ছাপা হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য প্রায় ৪১ লাখ সহায়িকা ছাপা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৪০-৪১ কোটি বই ছাপাতে কত হাজার টন কাগজ প্রয়োজন এবং দেশে এই সক্ষমতা আছে কি না তা আগে থেকে বিবেচনা করেনি এনসিটিবি। ছাপাখানাগুলো একসঙ্গে কাজ শুরু করলে কাগজের সংকট দেখা দেয়। ফলে কাজের গতিতে প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রেও এনসিটিবি দায় চাপায় অন্যদের ওপর। আমদানি বিবেচনায় তা তিন মাস আগেই করা উচিত ছিল। এক্ষেত্রেও এনসিটিবি সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপণ করে ফেলেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনসিটিবির আরেকটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে তা হলো কাজ প্রদানে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা। দেখা যায়, এমন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে যাদের কোনো ছাপাখানাই নেই। অনেকে সক্ষমতা থেকে বেশি কাজ পেয়ে গেছে। ফলে কেউ কেউ কাজই শুরু করতে পারেনি। আবার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যথা সময়ের আগেই কাজ শেষ করে এসসিটিবিকে বুঝিয়ে দিয়েছে। যে সকল প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে কাজ করা ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করত সে সকল প্রেস এ বছরও একই সমস্য সৃষ্টি করেছে।
সার্বিক বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান পাঠ্যবইয়ের সংকটে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে বিষয়টি স্বীকার করেন। এ ছাড়াও বইগুলো ছাপিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে এ তথ্যও জানেন। সংকট সমাধানে বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। চেয়ারম্যান বলেন, প্রেস মালিকরা যে সক্ষমতার কথা আমাদের জানিয়েছিল, তার অর্ধেক সক্ষমতা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে বই ছাপানো শেষ করা সম্ভব। কিন্তু সেটি তারা করেননি। বরং যারা কাজ পেয়েছেন, ঋণ খেলাপি তাদের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ। মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই ছাপানোর বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দশম শ্রেণির বই আগে ছাপানোর জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। নবম-দশম শ্রেণির বইয়ের ফর্ম বেশি। একটি বইয়ে ৩০-৪৩ ফর্মা প্রয়োজন। সাইজে মোটা হওয়ায় এটি করতে সময় লাগছে। তিনি আরও জানান, যেসব প্রিন্ট মালিকদের সক্ষমতা আছে এবং কাজ শেষের দিকে, তাদের দায়িত্বে অন্য প্রিন্টারদের কাজ দেওয়া হবে।

 

×