ছবি : সংগৃহীত
গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকার ভারতের সঙ্গে অসংখ্য চুক্তি করেছে, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এসব চুক্তি শুধুমাত্র ভারতকে সুবিধা দিতে করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে।
সরকারের করা একের পর এক চুক্তি নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সীমান্ত জেলাগুলোতে ভারতের আধিপত্য বেড়েছে এবং দেশটির স্বার্থরক্ষায় বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে কার্যত ব্যবহার করা হচ্ছে।
রেল ট্রানজিট: ক্ষতি না কি লাভ?
একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ছিল ভারতের জন্য ট্রানজিট সুবিধা। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় ট্রেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা থেকে আগরতলা পর্যন্ত প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার পথ ১১ ঘণ্টায় অতিক্রম করতে পারে, যেখানে বর্তমানে সময় লাগে ৩৬ ঘণ্টা। যদিও সরকার এটিকে বাংলাদেশের জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়ন হিসেবে দেখিয়েছে, সমালোচকরা বলেছেন, এতে ভারতের লাভের তুলনায় বাংলাদেশের ক্ষতি বেশি।
১০০টিরও বেশি চুক্তি: প্রশ্নবিদ্ধ কার্যকারিতা
সরকারের ভারতবান্ধব নীতির সমালোচনা করে অনেকে বলেছেন, গত এক দশকে ১০০টিরও বেশি চুক্তি সই হয়েছে, যার বেশিরভাগই ছিল একতরফা। সীমান্ত হত্যা, পানি বণ্টন সমস্যা কিংবা রপ্তানিতে ভারসাম্যহীনতা নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি, বরং বাংলাদেশকে ভারতের প্রদেশে রূপান্তর করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
মারিয়া