সংবিধান সংস্কার কমিশন সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করেছে। একই সাথে, রাজনৈতিক দলগুলোকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ তরুণ প্রার্থী দেয়ারও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে এই সুপারিশকে অনেকেই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত হিসেবে মানছেন না এবং এটি নিয়ে সমালোচনা করছে।
এ নিয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টি অর্থাৎ এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এক টকশোতে বলেন,ইংল্যান্ড এর শিক্ষা ব্যবস্থায় মনে করা হয়,শিক্ষার পাশাপাশি জীবন ঘনিষ্ঠ কিছু কাজের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।তাহলে একজন শিক্ষার্থী যখন পার্লামেন্টে আসবে তখন সে জনগণকে,সমাজকে, শ্রমজীবী মানুষকে প্রতিফলিত করতে পারবে। হাউস অফ কমন্স মানে সাধারণ মানুষের সংসদ। এখানে আসতে হলে সাধারণ মানুষ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হতে হলে ২১ বছরের প্রেক্ষাপট নিয়ে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এই সংসদে যদি এমন এমন লোক আসেন যারা তরুণ ,যারা আন্দোলন করেছেন ,তারা জীবন ঘনিষ্ঠ হতে পারবেন না।
এক দুইজন হয়তোবা অসাধারণ হতে পারে কিন্তু মোটা দাগে ২১এর বয়স দিয়ে এটা হবে না। ফুয়াদ মনে করেন বয়সের বাধা নিয়ম না দিয়ে বরং এটা দেখা উচিত যে জীবন ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা আছে কিনা।
তিনি বলেন সত্তরের পার্লামেন্টের কথা, যেখানে শেখ ও মুজিবুর রহমান অনেক তরুণদেরকে যাদের বয়স ছিল ৩০-৩৫বছরের নিচে তাদেরকে নিয়ে সংসদ গঠন করেছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর এমপি প্রজাতি ছিল ঐ সংসদে ।
গুন্ডামি করা ,জমি দখল করা হেন কোন অপরাধ নেই যা ওই সংসদের তরুণ এমপিরা করেনি।আসাদুজ্জামান ফুয়াদ মনে করেন বর্তমান তরুণরাও এই দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে জড়িয়ে গিয়েছে।
অতএব সেই বাস্তবতায় সেই সত্তরের উদাহরণ ধরলে বয়সে না গিয়ে জীবন ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতায় যাওয়া দরকার।
সূত্র:SATV
আফরোজা