ছবি: সংগৃহীত
এই সেই বাবলু, যিনি একসময় বিজিবির খন্দকে কাস্তে হাতে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। আজও সীমান্তে উত্তেজনার খবর পেয়ে লাঠি ও কাস্তে হাতে ছুটে এসেছে সীমান্তে। তার সঙ্গে গ্রামের আরও অনেক মানুষ ছুটে এসেছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে গাছের ডাল কাটতে শুরু করলে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। গ্রামবাসী এতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুই পাশ থেকেই মানুষ ছুটে আসে এবং সংঘর্ষ তীব্র হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ককটেল ফোটানোর ঘটনায়।
পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফকে ধাওয়া করলে তারা সীমান্ত থেকে সরে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ওই কৃষক বাবুল আলীর বাড়িতে দেখা যায়, হলুদ পরিষ্কারের কাজ করছেন তিনি।
ওই দিনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুল আলী বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য ভারতের বিএসএফ মাটি খনন করছিল। এসময় বাধা দেয় বিজিবি। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা গ্রামের মানুষ বিজিবির পাশে দাঁড়িয়েছি। কারণ দেশের মাটি কাউকে দখল করতে দেবো না। এমনকি দেশ বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিতেও দ্বিধা করবো না। এজন্যই সাহস নিয়ে বিজিবির পাশে কাস্তে হাতে বসে ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার কারণে আমাদের এলাকার মানুষের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমরা তাতে কিছু মনে করিনি। আগে দেশ বাঁচানো প্রয়োজন।’
রাসেল