ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক শাহেদ আলম সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, “হরতাল ডাকলেও, সেটি বাস্তবে কোথাও পালিত হয়নি। এমন কর্মসূচি ডাকাকে উদ্ভ্রান্ত মস্তিষ্কের ভুল পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করা যায়।”
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একাধিক ভ্রান্ত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় হরতালের মতো একটি অপ্রাসঙ্গিক কর্মসূচি নিয়েছেন।
আলম অভিযোগ করেন, “রাতের আঁধারে কয়েকজন মুখোশ পরিহিত ব্যক্তি গোপন স্থানে মিছিল বের করেছেন। হরতালের সমর্থনে দুই-একটি স্লোগান দিলেও, জনসাধারণের মধ্যে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।”
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ হরতাল বন্ধের জন্য আইন পাস করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অতীতে হরতাল বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হাসিনা নিজেই এখন হরতাল ডাকছেন। এটা তার রাজনৈতিক দ্বিমুখীতার প্রমাণ।”
তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বেড়েছে। এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা দুর্নীতির ভাগ পাইনি, অথচ মাঠের রাজনীতিতে আমাদের দিন কাটছে মামলা ও প্রতিপক্ষের আক্রমণের ভয়ে।”
শাহেদ আলম মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হলে আওয়ামী লীগকে নিজেদের কৌশল ও নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, “নতুন দিনের রাজনীতির জন্য দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। আওয়ামী লীগ যদি রাজনীতি চালিয়ে যেতে চায়, তবে তাদের ক্ষমা চেয়ে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে।”
সাংবাদিক আলম তার বক্তব্যে আজকের হরতালকে “ফ্লপ” আখ্যা দিয়ে বলেন, “শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে লিপ্ত হয়ে ভুলের পর ভুল করছেন। এই হরতাল সেই ধারারই আরেকটি প্রমাণ।”
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন এবং বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো বিচক্ষণ নেতৃত্বের অভাব স্পষ্ট।”
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/g56vd1Ju2-I?si=1z-Se9o7VaZol1pu
এম.কে.