ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জুলকারনাইন সায়েরের

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জুলকারনাইন সায়েরের

বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক  জুলকারনাইন সায়ের এবার নিজের ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে অভিযোগ করেন।

শনিবার ( ১৮ ই জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ ২০ মিনিটে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে সায়ের উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফসল হিসেবে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা সকলের নিকট সমাদৃত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কতিপয় অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাওয়ার ঐকান্তিক আকাঙ্ক্ষা সেনাবাহিনীর সকল পদবীর সকল সদস্যদের হতাশ ও লজ্জিত করেছে। এ সকল ধান্দাবাজ কর্মকর্তার বিবিধ সেনাবাহিনী বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি এক ধরনের বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। এমনই একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির। সাবেক এই ব্রিগেডিয়ার সাহেবের কীর্তিকলাপের কিছু অংশ আপনাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের কথা উল্লেখ করে সায়ের লিখেন,কে এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির (অবসরপ্রাপ্ত)?

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির (অবসরপ্রাপ্ত) ২০১০ সালে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধাসহ স্বাভাবিক অবসরে গেলেও কেন তার মনে এত ক্ষোভ ? নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করা ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে ক্ষন্ন করে আসলে তিনি কি চরিতার্থ করতে চান? কি তার প্রকৃত উদ্দেশ্য?

সায়ের পোস্টে আরো উল্লেখ করেন,দেশপ্রেমিকের চাদরে আবৃত এই কর্মকর্তা চাকুরী জীবনে মিরপুর স্টাফ কলেজে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় নকল করে ধরা পড়েন ও শাস্তি প্রাপ্ত হন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির (অবসরপ্রাপ্ত) সাভারে কর্মরত থাকাকালীন জোর পূর্বক বেসামরিক ব্যক্তির জমি দখল করেন। এছাড়াও, কর্মজীবনে তিনি অধীনস্থদের সাথে অসম্মানজনক (চড় থাপ্পর মারা) ও চরম দুর্ব্যবহার করতেন। ১/১১ এর সময় তিনি চট্রগ্রামের ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। ২০১২ সালে কেইপিজেডের উপদেষ্টা থাকাকালীন শিল্পাঞ্চল নির্মাণের নামে অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার কারণে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মামলা দায়ের করা হয়।

আইনের প্রতি যিনি নিজেই অশ্রদ্ধাশীল তার মুখে নীতিকথা ঠিক কোন মুখে মানায় তা বেশ বিষ্ময় কর!

এছাড়াও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) হাসান নাসির একজন অস্থির ও অপকৃতিগ্রস্ত মানসিকতার লোক। অবসরের পর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ২০১১ সালে প্রথমে বিএনপিতে যোগদানের চেষ্টা করেন কিন্তু তখন তার বিবেচনায় বিএনপির ভবিষ্যৎ নাই দেখে জামাতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি তাতেও শান্তি না পেয়ে ২০১৮ সালে মেজর জেনারেল (অবঃ) ইব্রাহীরের কল্যান পার্টিতে যোগ দেন এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে বেশ কিছুদিন কাজ করার পর ভাগ ভাটোয়ারার সমন্বয় না হওয়ায় সেখান থেকে ২০২৩ সালে পদত্যাগ করেন। সাত ঘাটে পানি খাওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) হাসান নাসিরের আগে নিজে মনস্থির করা উচিৎ আসলে তিনি কি করতে চান।

ইতোমধ্যেই পিলখানা হত্যাকান্ডের পুনঃতদন্ত নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হলেও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির (অবসরপ্রাপ্ত) উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হীন স্বার্থ চরিতার্থে উক্ত কমিশনের কার্যক্রমকে ব্যাহত ও দেশের সার্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলার লক্ষ্যে ক্রমাগত কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের প্ররোচণায় বিতর্কিত ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য তিনি বর্তমানে বিভিন্ন অনৈতিক ও নৈতিক স্খলন জনিত কারণে চাকুরীচ্যুত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপের সথে একত্ততা ঘোষণা করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনগড়া তথ্য ও বক্তব্য প্রদান করে চলেছেন।

অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের কল্যাণের জন্য গঠিত সংস্থা রাওয়া’ র নির্বাচিত কমিটিকে তোয়াক্কা না করে ও গায়ে মানে না আপনি মোড়লের মত বিতর্কিত উচ্ছৃঙ্খল অফিসারদেরকে নিয়ে নির্বাচিত কমিটির কার্যক্রমকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে ক্রমাগত বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিতর্কিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করছে।

ফুয়াদ

×