ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি এক সংবাদ সন্মেলনে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, কর এবং ভ্যাটের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, কর নিরূপণ হয় হচ্ছে আমার আয় উপার্জনের উপর ভিত্তি করে। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন কর্পোরেশনেরও নির্দিষ্ট পরিমনি লাভ উপর কর দিতে হয়।
ভ্যাটের সমস্যা হচ্ছে ভ্যাট দেয় গরিব মানুষ এই যে আমি টং দোকানে চা খাওয়ার কথা বললাম এই টং দোকানে চা খাওয়ার কারণে টং দোকানে যিনি চা খাচ্ছেন আর চিনি চা খাওয়াচ্ছেন দুইজনই ভ্যাটের আওতায় পড়ে যাচ্ছেন । মিষ্টির দোকানে আপনারা যাঁরা বিকালে সিঙ্গাপুরির সাথে মিষ্টি খান আপনার ওখানে ভ্যাট দিতে হচ্ছে । যারা পরিবার নিয়ে সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার যাচ্ছেন সুলতান ডাইনে তাদেরকে ভ্যাট দিতে হাচ্ছ ।
বাংলাদেশে যদি আপনি রাজস্ব আদায়ের যে অঙ্কটা দেখেন প্রতি বছর যে আমার ধরেন টোটাল রাজস্ব আয় হচ্ছে । তার প্রায় ৫০% আসে বলে ভ্যাট থেকে। তাহলে রাষ্ট্র দেখেন টোটাল ধোনি এবং ধনাঢ্য মানুষের কাছ থেকে দেশের বাজেটের ৫০% টাকা দেয় বাকি ৫০% টাকা নিচ্ছে কিন্তু আমার আপনার মতো গরিব মানুষের কাছ থেকে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত যারা টিসিবির ট্রাকের পিছনে ঘন্টার পর ঘন্টা সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকে।
এই গরিব মানুষকে কেন্দ্র করে আবার দেখবেন রাষ্ট্রপক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করছে। সারা দুনিয়ার ব্যাঙ্ক থেকে এবং এই টাকাগুলো লুট হচ্ছে। ভ্যাটের কারনেই রাষ্ট্রে ধনী গরিবের পার্থক্য তৈরি হয় । পৃথিবীর সবচেয়ে বৈষম্যমূলক সমাজের মধ্যে যদি আপনি ৫,৭ টা দেশ ধরেন তার ভিতরে বাংলাদেশে ১ নাম্বারে থাকবে। আমরা এত গরিব দেশ আমার অর্থনীতি এত ভাল করেছে , তাহলে আমার এখানে বৈষম্য কেন?
আওয়ামী লীগ সরকার যখন আসে তখন অর্থনীতির ছিল দুইশ আড়াইশ মিলিয়ন ডলার তখন আপনার ট্যাক্স এবং জিডিপি রেশিও ছিল হচ্ছে ৩%। আওয়ামী লীগ আমাদেরকে বলে গেল যে আমাদের এখন জিডিপির ৪৫০ কোটি নাকি হয়ে গেছে তাহলে আমার ট্যাক্স জিডিপি রেট ১৩% আসছে কেন?
রাসেল