নবাব স্যার সলিমুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা
নবাব স্যার সলিমুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামে যা করা হয়েছে ঢাকা শহরে তা পর্যাপ্ত নয়। ঢাকায় বিভিন্ন সড়কে স্কয়্যার এবং একই সাথে তার স্মৃতিবিজড়িত সামগ্রী ও পত্রাবলী বৃহৎ স্বার্থে রাষ্ট্রের হেফাজতে নিয়ে জাদুঘর কিংবা আর্কাইভ সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় অনুদানে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র চলচ্চিত্র নির্মাণ করা অর্থাৎ বায়োপিক নির্মাণ করা যেতে পারে।
তারা দাবি জানান, আজ পর্যন্ত অনেক কিছু চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু স্যার সলিমুল্লাহকে নিয়ে জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনও প্রামাণ্য চিত্র বা তার কোন চলচ্চিত্র কিংবা বায়োপিক নির্মাণ হয়নি। সে ক্ষেত্রে আমি আবেদন জানাব যে এ বিষয়ে যেন উদ্যোগ নেওয়া হয়। সারা বাংলাদেশে তার ছেলে মোল্লা অথবা নবাব পরিবারের কোনও জমি কেউ ভোগদখল করে থাকলে বা কোনও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে তার মূল্য পরিশোধ করা এবং তার ব্যর্থ হলে কমপক্ষে প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর অথবা ঢাকা নবাব পরিবারের নামে সৌজন্যে প্রাপ্ত বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। এ বিষয়ে যদি আমরা আজকে উদ্যোগী না হই, আগামী প্রজন্ম যদি বিষয়ে উদ্যোগী না হয় তাহলে আমাদের কাছে আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের ব্যর্থতা গ্লানি বয়ে বেড়াতে হবে।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘নবাব স্যার সলিমুল্লাহ একজন সুপুরুষ ছিলেন। এই বাংলাদেশের ঢাকা শহরে প্রথম বিদ্যুৎ কিন্তু তিনিই এনেছেন। তার মতো সুপুরুষ বাংলাদেশে আর আসবে না। সবাই আমরা যদি একসাথে থাকতে পারি ইনশাল্লাহ, উনার অবদান আমরা আরো উপরে তুলতে পারব। আমরা পরিবারের সদস্যরা যদি একসঙ্গে বসি তাহলে সব সমাধান হবে। সামনে তার জন্মবার্ষিকী আসতেছে সেখানেও আমরা কিছু করতে পারব।
তারা আরো বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি বেতন দিয়ে। এটি খুবই দুঃখের কথা। আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিকেলে ফ্রি হওয়া উচিত। এখানে যদি আমরা আসি আমাদের টাকা দিয়ে ঢুকতে হয়। অথচ ঢাকা শহর এক সময় আমার দাদার ছিল, আমার দাদার দাদার ছিল। তার কোনো কন্ট্রিবিউশন নাই। আমরা যা হয়েছি তা আমাদের নিজেদের যোগ্যতায়। কিন্তু কোথাও বলতে পারবো না যে আমার দাদার কন্ট্রিবিউশনে এখানে এসেছি।
সূত্র: দেশ টিভি। https://www.youtube.com/watch?v=0W3nt5CRTUg
এম হাসান