ছবিঃ সংগৃহীত
সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছেন, ঘোষণাপত্র কি সবাইকে খুশি করে হয়। তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে এমন কিছু করা যাবে না, যেন আন্দোলনে যারা অংশীদার ছিলো এই দলগুলোর মধ্যে কোন ফাটল ধরে। তারমানে সবাইকে খুশি করে এই কাজটা করতে হবে। কিন্ত ঘোষণাপত্র কি সবাইকে খুশি করে দেয়া সম্ভব।স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রেও তো সবাই খুশি হয় নাই।
তিনি আরো বলেন, আমার কাছে মনে হয় এই সরকার কাজের দিক থেকে সিরিয়াস না। তারা কোন ব্যাপারেই তেমন একটা সিরিয়াস না। সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়ে আসলো, থাকলো, চলে গেলো এই ধরনের নন সিরিয়াস আচরণ তাদের ভিতর দেখেছি আমি।
একটা উদাহরণ দেই আমি, এই ঘোষণাপত্র করার প্রয়োজনীয়তা মনে করলো কেন তারা প্রথমত। উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তারপরে তারা চেয়েছে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা ঘোষণাপত্র তৈরি করবে৷ ঘোষণাপত্রের দাবি ছিলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির। এই দুই সংগঠন ঘোষণাপত্র দাবি করে নিজেরাই ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর। এই ঘোষণাপত্র থামানোর জন্য সরকার থেকে ৩০ ডিসেম্বর বলা হলো আমরাই দিব।
জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা এই ঘোষণা দিব। শিক্ষার্থীরা সরকারকে একটা আল্টিমেটাম দিল ১৫ জানুয়ারির ভিতরে ঘোষণাপত্র দেয়ার জন্য। কিন্ত এই আল্টিমেটাম সরকার সিরিয়াস ভাবে নেয় নাই। সিরিয়াসভাবে নিলে সেদিন থেকেই উদ্যোগ নিত সরকার। সরকার উদ্যোগ নিলো আল্টিমেটাম শেষ হবার পরের দিন।
সরকার বলতে চাইলো আমি তোমাদের কথা গুরুত্ব দেইনা। সবাইকে সরকার থেকে ডাকা হয়েছে, সেটিও ডাকার মত করে না৷ ছেলেখেলার মত করে ডাকা হয়েছে। সিপিবি তো যায়ই নাই। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে ডাকা হয়েছিল। তারমানে সবাই আসুক,সিরিয়াস ভাবে কথা বলুক সরকার তা চায়না।
রিফাত