ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

পূরণ হওয়ার পথে দীর্ঘদিনের দাবি

১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেম পাবেন সম্মানী ভাতা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২৩:২৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন ও  খাদেম পাবেন  সম্মানী ভাতা

.

ইমামদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথে। এখন থেকে দেশের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদের ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমকে সম্মানী ভাতা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় এই ভাতা দেওয়া হবে। প্রথম দফায় দেশের ১০ শতাংশ মসজিদে এ সম্মানী চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি মসজিদগুলোও এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে ইমামকে দেওয়া হবে পাঁচ হাজার টাকা, মুয়াজ্জিন চার হাজার এবং খাদেম পাবেন তিন হাজার টাকা। এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তার পরই সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, সারাদেশে অন্তত সাড়ে তিন লাখ মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদে ১৭ লাখের বেশি ইমাম ও মুয়াজ্জিন রয়েছেন। এর বাইরে শহরের মসজিদগুলোতে খাদেম রয়েছেন। সরকার পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম দফায় দেশের ১০ শতাংশ মসজিদে এ কর্মসূচি চালু করবে। পরে ধাপে ধাপে সব মসজিদ এর আওতায় আসবে। কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি মসজিদকে ১২ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। একইভাবে মন্দিরের পুরোহিত ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এ ভাতার আওতায় আসবেন ।

এর আগে গত বছরের ৪ মার্চ জেলা প্রশাসক সম্মেলনের ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কর্ম অধিবেশন শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, প্রতিটি জেলায় ইমাম, মুয়াজ্জিন, পুরোহিত ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্যদের তালিকা প্রস্তুত করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত। এর মধ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত।

জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বর্তমান  অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিষয়টি বেশ গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত এ দাবি পূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, এরই মধ্যে সারাদেশের মসজিদগুলোর তালিকা করতে গত মঙ্গলবার সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়- দেশের প্রচলিত মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৬ যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেই গত বছরের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার থেকে সম্মানী প্রদান করা হবে।

জানতে চাইলে কমিটির প্রধান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশের সাড়ে তিন লাখ মসজিদের ১৭ লাখের বেশি ইমাম ও মুয়াজ্জিন রয়েছেন। এর মধ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত। এর বাইরে শহরের মসজিদগুলোতে খাদেম রয়েছেন। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারাদেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯  ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত। তাদের প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে সম্মানী প্রদান করা হয়।

 

×