ছবি: সংগৃহীত।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে ভোক্তার স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, "হুট করেই ভ্যাট ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, অথচ কারো সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই এটি করা হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সদস্যরা এসব উদ্বেগের কথা জানান।
তারা আরও বলেন, "মুহূর্তের মধ্যে ৫% ভ্যাট বৃদ্ধি করে তা ১৫% করা হয়েছে। মানুষ এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আগামীতে ব্যবসা না থাকলে রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।"
ব্যবসায়ীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "আমরা বারবার আপনাদের অনুরোধ করবো, ভিক্ষা করবো, এবং বোঝানোর চেষ্টা করব। তবে যদি ভ্যাটের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না হয়, তাহলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।"
তারা প্রশ্ন করেন, "আগামীতে যদি ব্যবসা না থাকে, তাহলে দেড় লাখ মানুষের বেতন কোথা থেকে দেবো?" এবং অনুরোধ করেন, "আমাদের যেন ঋণ খেলাপি না বানানো হয়।"
এ সময়, ব্যবসায়ীরা চীন, ভিয়েতনাম, এবং থাইল্যান্ডের ভ্যাট ব্যবস্থা নিয়ে তুলনা করে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, "সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা আগামী দিনের একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।"
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, "আগে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে তেমন ফুড প্রোডাক্ট রপ্তানি হতো না, কিন্তু এখন ১৬০টিরও বেশি প্রোডাক্ট রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে রপ্তানি খাতে আমরা থাইল্যান্ডের থেকেও পিছিয়ে আছি, কারণ রপ্তানি বাড়ানোর প্রথম শর্ত হচ্ছে দেশের লোকাল বাজার।"
সবশেষে, তারা বলেন, "এই লোকাল বাজার তৈরি হওয়ার আগে যেন ধ্বংস না করা হয়। আমরা যেন দেশের মানুষের জন্য কাজ করি, যাতে কৃষকেরা উপকার হয় এবং তারা লাভজনকভাবে কৃষি শিল্পের সাথে জড়িত থাকতে পারে। আমাদের কৃষি শিল্পই আমাদের জীবনের ভিত্তি, তাই অনুগ্রহ করে এই শিল্পটিকে জন্মের আগেই মেরে ফেলবেন না।"
নুসরাত