প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাঁদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
- ঐক্যের মাঝে অন্তর্র্বতী সরকারের জন্ম- প্রধান উপদেষ্টা
- রাজনৈতিক ঐক্যেতে যেন ফাটল না ধরে- সালাউদ্দিন
- বৈঠক সফল সব দল ঐক্যমত- গোলাম পরওয়ার
- সবাইকে নিয়ে ঘোষণাত্র পাঠ সুনিশ্চিত- আরিফ সোহেল
- ঘোষণাপত্রে শব্দ চয়নে দলগুলো সময় চেয়েছেন-নাসীরুদ্দীন
ছাত্রজনতার রক্তস্রোতের বিজয়ে ঐতিহাসিক দলিল ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দল, ছাত্রজনতার সবার ভূমিকা নিয়ে মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে সবাই ঐক্যমত হয়েছেন। কালক্ষেপণ না করে খুব শীঘ্রই ঐক্যমতে পৌছাতে আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক এই আলোচনা হয়। যেখানে বিএনপি, জামায়াত,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন,জাতীয় নাগরিক কমিটি ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টিসহ অনেক দল অংশ নেয়। বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলগুলো বলেছেন, বিগত ১৫ বছরের বেশী সময় তারা আন্দোলন করে আসছেন, জুলাই বিপ্লবেও তাদের ভূমিকা ছিলো রাজনৈতিক ভূমিকা বা মালিকানা যাতে ঘোষণাপত্রে থাকে তা নিয়ে জোর দেওয়া হয়। জামায়াতে ইসলামীও বিগত ১৫ বছরে যারা নির্যাতিত হয়েছে সবার ভূমিকা ঘোষণাপত্রে লিপিবদ্ধ করতে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ছাত্রদের অংশ থেকে বলা হয়েছে, দুই হাজার শহীদ পরিবার, ২৫ হাজার আহত ব্যাক্তি এবং যারা এই আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি স্বরূপ এই ঐতিহাসিক দলিল উপস্থাপন হবে । এজন্য তারা সকল দলের সহযোগীতা চেয়েছেন। জনগণকে আরও কিছু সময় ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠক সূত্র বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন কোনো ধরনের ফাটল না ধরে সে দিকে খেয়াল রাখতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, এ ঐক্য ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ। এটি না হলে পতিত সরকার সুযোগ নেবে। তাই সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে। যাতে সবাই মনে করে এটি তার ঘোষণাপত্র। এছাড়াও ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে গিয়ে যেন কাল বিলম্ব না হয়, আবার তাড়াহুড়োও না করা হয় সে বিষয়েও সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ঐক্যের মাঝে অন্তর্র্বতী সরকারের জন্ম- প্রধান উপদেষ্টা : ঐক্যের মাঝে অন্তর্র্বতী সরকারের জন্ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ ঘোষণার বিষয়ে সর্বদলীয় ঐক্যের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন ।ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৫ আগস্টের পুরো অনুভূতিটাই ছিল একতার অনুভূতি। একতাতেই আমাদের জন্ম, একতাই আমাদের শক্তি। কারণটা পরিষ্কার, কারণ এই সরকারের জন্ম হয়েছে ঐক্যের মাঝখানে। আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হলে বসতে পারলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে, মানে সাহস পাই। যে লক্ষ্য নিয়ে এ সরকার গঠিত হয়েছে সবার সঙ্গে দেখা হলে পুনরুজ্জীবন পায়, প্রাণসঞ্চার হয় , এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, সব দলকে এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বৈঠক শেষে সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সংগঠনগুলো সবাই বলেছেন ঐক্যমত প্রোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটা ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে। যত সময় লাগে সেটা যেন নেয়া হয়, তাড়াহুড়ো যেন না করা হয়, আবার যেন কালক্ষেপন করা না হয়।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া প্রায় সকল শক্তি ও রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিলো। বৈঠকে সবাই বলেছেন এ ধরনের ঘোষণার দরকার আছে। তবে মোটা দাগে পরামর্শ ছিল যে ঘোষণাপত্রে সবার অবদান ঠিক মতো বলতে হবে। এর ধারাবাহিকতা ঠিকমতো উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের প্রকৃতি কী হবে- রাজনৈতিক ও আইন প্রকৃতি কী হবে তা স্পষ্ট করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে যে, এ ঘোষণাপত্রটা আরো বেশি আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দল, শক্তি, ছাত্র-জনতার বিভিন্ন ফোরামের মধ্যে আরও ইনটেনসিভ আলোচনার মাধ্যমে সর্ব সম্মতিক্রমে এটা প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য যতটা সময় লাগা প্রয়োজন সেটা নিতে হবে। তবে চেষ্টা করতে হবে অযথা যেন কাল বিলম্ব না হয়। সবাই একমত পোষণ করেছে। সবার ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার ভিত্তিতে এ ধরনের ডকুমেন্ট প্রস্তুত হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে এ পক্রিয়ায় আমরা সফল হতে সম্ভব হবো।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে অটুট জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি সেই ঐক্যের নেরেটিভ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রণয়ন করতে পারবো আশাবাদ রেখে সভা শেষ হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো ধরনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি, শুধু প্রসেস নিয়ে বিভিন্ন মতামত এসেছে। সব মতকে আমরা স্বাগত জানাই। কোথাও অনৈক্যের সুর দেখি না। বরং সবার মত যেন গুরুত্ব পায়, সবাই যেন অনুভব করে যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে মালিকানা তারও আছে। এটার পক্ষে বিভিন্ন মত এসেছে। যে মতামত ঐক্যের পথে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমরা মনে করি।
ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে-সালাউদ্দিন: অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা. ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমাদের রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। এ ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের সাড়ে পাঁচ মাস পর রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের কি প্রয়োজন ছিল এ প্রশ্নও তিনি বৈঠকে তুলেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত ও বক্তব্য দিয়েছে। আমরা প্রশ্ন করেছি যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র এই পাঁচ মাস পরে কোনো প্রয়োজন ছিল কিনা। যদি থেকে থাকে, সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী? এগুলো নির্ধারণ করতে হবে। যাতে এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদবিরোধ যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফাটল সৃষ্টি না হয়।’’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘যদি কোনো রাজনৈতিক দলিল ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়, সেই দলিটাকে অবশ্যই আমরা সম্মান করি। কিন্তু এটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, পরামর্শ নেওয়া হয়, আলোচনা করা হয়। যেকোনো রকম অনৈক্যের বীজ কেউ যাতে আমাদের মধ্যে বপন করতে না পারে, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখা, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে সেই জাতীয় ঐক্যকে গণঐক্যতে রূপান্তরিত করা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি হিসেবে চর্চা করা, রাজনীতির সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসা এবং ঐক্য ধরে রেখে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটাই আমাদের এখন লক্ষ্য।’’
সব দল ঐক্যমত ,বৈঠক সফল আরও বৈঠক হবে - জামায়াত: জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে সব দল ঐক্যমত হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করার জন্য যে খসড়া রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে সেটি বিলম্ব হওয়ায় দলীয় ফোরামে অনেকে আলোচনা করতে পারেনি। তাই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বৈঠকে আলোচনা করা যায়নি। আমরা পরামর্শ দিয়েছি, সরকারের এমন একটা মূল্যবান দলিল তৈরির পেছনে যেন কোনো অস্থিরতা, অসঙ্গতি, অসমন্বয় না হয়, ধীরস্থীরভাবে করার জন্য। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মতবিনিময় হওয়া দরকার। তিনি বলেন, এখানে অনেক মৌলিক বিষয় বাদ পড়েছে। ইসলামী শক্তির অবদান এ কাঠামোয় স্থান পায়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অবদান, নিরিহ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়া, আয়নাঘর, গুম, খুন বাদ পড়েছে। আমরা বলেছি যেন সব অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সবার সঙ্গে কথা বলতে, যেন সবাই মতামত দিতে পারেন। পরওয়ার বলেন, প্রাথমিক বৈঠক সফল হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আবার বৈঠক হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আমরা একটা ঐক্যমতে পৌছাতে পেরেছি সবাইকে নিয়ে আমরা একটা ঘোষনাপত্র শীঘ্রই উপস্থাপন করবো। প্রধান উপেদেষ্টাও সম্মত হয়েছেন। ঘোষণাপত্রে শব্দ চয়নে কিছু রাজনৈতিক দল আরো কিছু সময় চেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে লক্ষ করে কিছু সময়ের কথা বলেছেন আবার এটা যেন কালক্ষেপণ না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে বলেছেন। মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ঐক্যমতে পৌছার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা ধৈর্যধারণ করছি এখনও করছি। আমরা জনগণকে বলবো আপনারা আরও কিছুদিন ধৈর্য ধারণ করুন। বাংলাদেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য এই ঐতিহাসিক দলিল ছাড়া সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন , জাতীয় নাগরিক কমিটি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, দ্রুত ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য আমরা সরকারকে চাপ দিয়েছি। সরকার বলেছে, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই ঘোষণাপত্র তৈরি করবেন। ৩১ তারিখ আমরা ইউনিটি নিয়ে কর্মসূচী পালন করি। ১৫ তারিখ পর্যন্ত আমরা সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এই আল্টিমেটাম চলা অবস্থায় আমরা সারাদেশে জনকর্মসূচী পালন করেছি। গণঅভ্যুত্থানে সকল ছাত্রজনতার মতামত নিয়েছি, তাদেরকে জানিয়েছি। আমরা সারাদেশের মানুষের কাছে গিয়েছি। গতকাল সরকার আমাদের জানিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠক করবেন। আমাদের আল্টিমেটামের মধ্যে সরকার কাজ শেষ করতে পারেননি, এখন যেহেতু উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি। সবারই মতামত এসেছে। আমরা ঐক্যমতে পৌছাতে পেরেছি গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সবাইকে নিয়ে ঘোষণাত্র পাঠ করা হবে এটা এখন নিশ্চিত। পরে আমরা আবারও আলোচনা করবো ঘোষণাপত্রে কী কী থাকবে। কী কী বিষয় যুক্ত থাকলে ছাত্রজনতা, শহীদ পরিবার আহত ব্যাক্তি এবং যারা অংশ গ্রহণ করেছেন সবার আকাঙ্খা বাস্তবায়ন হবে। আমরা শীঘ্রই ঐক্যমতে পৌছাতে পারবো।
আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষণাপত্র স্বীকৃতি দিতে পারবো। নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্ত এবং ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হবে । আমরা মনে করছি আমাদের ঘোষণাপত্র ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের দিক থেকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য বলেছি। এটা আসলে কী হবে- প্রোক্লেমেশন, ডিক্লারেশন- সব ঐক্যমতের ভিত্তিতে হবে। ড্রাফট কমিটি করতে বলেছি। যেখানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি থাকবে। যেটি ভবিষ্যতে আমাদের কাজে লাগবে। সব মিলিয়ে পদ্ধতিগত জায়গায় প্রস্তাব করেছি।
বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে শুধুমাত্র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে যোগ দেন। জামায়াতে ইসলামী থেকে যোগ দেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে চার সদস্য। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও সংগঠনটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, জাতীয় গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে তিন সদস্য, ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম।এদিকে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেয়নি বাম গণতান্ত্রিক জোট ও সিপিবি এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। তবে তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাসেল