ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি তিস্তা প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
শুরুতেই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, অবস্থাটা হচ্ছে এরকম, এটার যে গাইডিং রিনিউ, সেটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেটা আমরা রিনিউ করবো। এটা হলো প্রথম কাজ। তারপরে স্পেসিফিক প্রজেক্টের ব্যাপারে আরো অনেক ডিটেইলস আলোচনা লাগবে, তবে বাংলাদেশ অবশ্যই তার নিজের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে, এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি।
রিনিউ কি আগামী সফরে হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিনিউ যেটা শেষ হয়েছে, সময় যেটা শেষ হয়ে গেছে, সেই রিনিউটা আমরা আশা করছি যে, এই সফরেই শেষ করে আসব।
আপনি তো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন, এই সরকার হয়তো এক বছর থাকবে, হয়তো ছয় মাস বা দেড় বছর বা তিন মাস। আপনিও জানেন না, আমরাও জানিনা তাহলে আসলে, এই সফরে ঠিক কি টার্গেট নিয়ে যাচ্ছেন?
তার জবাবে তিনি বলেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, এটা আসলে খুব সরকার স্পেসিফিক না। কিন্তু ইস্যুগুলিও আপনারা জানেন, এটা কোনটাই এক মাসের বা এক বছরের ইস্যু না। ইস্যুগুলিও অনেকদিনের, অনেক পিছন থেকে হয়ে আসতেছে। এখন আপনারা জানেন, গত সরকারের অবস্থা কি ছিল। ওই সরকারের সময়ও অনেক কিছু অগ্রগতি হইছে, আমরা কি সেগুলো সব বাদ দিয়ে দেবো, নট নেসেসারি। আমরা সেটাকে ফলো করবো, আমরা দেখব যে সেটা আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কীনা। এই যে প্রসেসটা, এটা কিন্তু অনগোয়িং প্রসেস। আমরা যখন চলে যাব, এই সরকার যখন থাকবে না, তখন পরবর্তী সরকার এসে কিন্তু বলবে না যে, এর সবকিছু বাতিল, তা কিন্তু হবে না।
বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু শর্টকামিং হয়তো আছে, অন্যান্য অনেক দেশে কোন ধরনের কোন পরিবর্তন হয় না, আমাদের এখানে খানিক পরিবর্তন কখনো কখনো করতে হয়, সরকারের চরিত্রের কারণে।
কিন্তু আমি মনে করি না যে, যেহেতু আমাদের সরকারের মেয়াদ নির্দিষ্ট নয় এবং যেহেতু এই সরকারের খুব দীর্ঘদিন থাকবে এমন কোন পরিকল্পনা নেই, এইজন্য আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যে বিষয়গুলি আছে, সেটা চীনের সাথে হোক বা অন্যান্য দেশের সাথে হোক, সেটা কিন্তু আমাদেরকে বাদ দিলেই চলবে না।
আমাদেরকে সেটা এমনভাবেই করতে হবে যে, এটা সরকার, দেশ করছে। তারপরে আমাদের পক্ষে যেটুকু সম্ভব আমরা করবো। আমাদের যারা পরে আসবেন, তারা সেগুলোকে ফলোআপ করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আরো জানতে চাওয়া হয়, তিস্তা নিয়ে চীন অনেক দূর পর্যন্ত ফিজিবিলিটি যাচাই করে, তারা এক ধরনের পরিষ্কার বার্তা দিয়েছিল যে, আমরা তোমাদের কাজ করতে রাজি আছি, তোমাদের সাথে। কিন্তু ভারতের সাথে আবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার কারণে বলা হলো, সেটি তাদের কাছে চলে যায় বা এই ধরনের একটা বিষয় ছিল। এই মুহূর্তে আমরা শুধু কি তাহলে আমাদের তিস্তার, আপনি বলছেন যে, রিনিউ করবো, শুধুমাত্র নবায়ন, সেখানেই থাকছি নাকি এটা নিয়ে আমরা ফারদার একটু অগ্রসর হবো?
এর জবাবে তিনি বলেন, সার্বিক বিষয়ে, প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা কিন্তু হবে, আলাপ আলোচনা হবে এবং কতটুকু আগানো যাবে, আমি এখনো জানিনা। কারণ তাদের আগ্রহ, আমাদের আগ্রহ, সব মিলিয়েই জিনিসটা হবে। তবে এটার যে ওই গাইডিং, যেটার অধীনে এই জিনিসটা হবে, সেটা কিন্তু আমরা পড়ে আসছি। তারপরে এটা নিয়ে, এটা তো প্রজেক্ট, প্রজেক্ট নিয়ে নেগোসিয়েশন তো হলেঅ এর পরবর্তী বিষয়। অগ্রগতি হতে পারে, কিছু প্রাথমিক কথাবার্তা ইতিবাচক, সমস্যার সমাধানে আমরা ইতিবাচক এতে কোন সন্দেহ নেই।
মো. মহিউদ্দিন